মাকে খুন করে ঘরের মেঝেয় পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিজের মাকে খুন করে ঘরের মেঝেয় পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো এক ছেলের বিরুদ্ধে। প্রায় দু’বছর সেই ঘরেই স্বাভাবিক জীবনযাপনও করল ‘গুণধর’ ছেলে।
নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমানের হাঁটুদেওয়ান পীরতলা এলাকায়। খবর পেয়েই মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্তকে আটক করল পুলিশ। যুবকের কীর্তিতে আঁতকে উঠছেন প্রতিবেশীরা। বর্ধমান থানার পুলিশ এই খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত মৃতার ছোট ছেলে সহিদুল সেখ ওরফে নয়ন (৩২) কে আটক করেছে। মৃত মহিলার নাম সুকরানা বিবি (৫৬)।
বর্ধমানের হাঁটুদেওয়ান পীরতলা এলাকার বাসিন্দা সহিদুল সেখ ওরফে নয়ন। তার দাদা কিসমত আলি অন্যত্র থাকতেন। মা সুকরানা বিবি থাকতেন নয়নের সঙ্গেই। বরাবরই সুকরানা বিবি ঘুরতে যেতে ভালবাসতেন। ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি হঠাৎই উধাও হয়ে যান সুকরানা বিবি। বড় ছেলে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিলেও কোনও লাভ হয়নি। ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারী মায়ের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন তিনি।
তারপর বহু দিন পেরিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি চলছিল নয়নের। বিষয়টি জানতে পেরে দাদা কিসমত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। নয়নের স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে সংসারে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। সেই সময়ই বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আনেন নয়নের স্ত্রী।
আর ও পড়ুন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ঘুড়ি, কোন ঘুড়ির চাহিদা এবার সবথেকে বেশী ?
তিনিই কিসমতকে জানান, ভারী বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাকে খুন করেছে নয়ন। সব জানার পর নয়নের বাড়িতে দাদা কিসমত যান। ভাই নয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাতে অবশ্য বিশেষ লাভ হয়নি। এরপর ছোট বউয়ের কাছে মায়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার রহস্য পরিষ্কার হতেই বড় ছেলে কিসমত আলী বর্ধমানে ফিরে এসে পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে বর্ধমান থানায় গোটা ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ করেন।
আর এরপরই সহিদুল সেখ ওরফে নয়নকে আটক করে পুলিশ। শুরু হয়েছে দেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া। কোর্টের অর্ডার নিয়ে মাটি খুঁড়ে মৃতদেহ তুলে ময়না তদন্তে পাঠানো হবে। পাশপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছেন, “আগামিকাল দেহ তুলে পাঠানো হবে ময়নাতদন্তে।” তবে কি কারণে মাকে খুন করলো ছেলে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।