শহর জলপাইগুড়িতে বুধবার জগদিন্দ্র দেব রায়কতের ১৫৯তম ও সরোজেন্দ্র দেব রায়কতের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হল। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহযোগিতায় সরোজেন্দ্র দেব রায়কত কলাকেন্দ্রে। এই উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় উত্তরবঙ্গ লোক সংস্কৃতি সমিতি ও মনীষী স্মৃতিরক্ষা কমিটির তরফ থেকে।
এই অনুষ্ঠানেই প্রশাসনিক উদ্যোগে মনীষীদের মূর্তির রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানান মনীষী স্মৃতিরক্ষা কমিটির পদাধিকারী তথা প্রাবন্ধিক উমেশ শর্মা। উল্লেখ্য জলপাইগুড়ি শহরে প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিদের আবক্ষ ও পূর্ণাবয়ব মূর্তি প্রশাসনের উদ্যোগে মনীষীদের মূর্তির রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের দাবি জানালো মনীষী স্মৃতিরক্ষা কমিটি। এদিন কলাকেন্দ্র চত্বরে থাকা জগদিন্দ্রদেব রায়কত ও সরোজেন্দ্র দেব রায়কতের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান, পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।
আরও পড়ুন – এক কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য এলাকায়
এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ তথা মনীষী স্মৃতিরক্ষা কমিটির সভাপতি বিজয় চন্দ্র বর্মন, সহ সভাপতি সাধন বসু, এস.ডি.আই.সি.ও. কামিনী রায়, সংস্কৃতিকর্মী জ্যোতি প্রসাদ রায় সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা। পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠানে শিবু রায়কত সহ রায়কত পরিবারের সদস্যরাও এদিন হাজির ছিলেন অনুষ্ঠানে। এদিনের অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন দুর্গা রায়, গৌরি রায়কত, রিয়া রায়কত সহ স্থানীয় শিল্পীরা। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন আইনজীবি শান্তা চ্যাটার্জি।
এদিন প্রাবন্ধিক উমেশ শর্মা বলেন, বৈকুন্ঠপুর রাজ এস্টেটে স্বল্প সময়ের জন্য রাজা হয়েছিলেন জগদিন্দ্র দেব রায়কত। জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রেখেছিলেন তিনি।অপরদিকে তার ছেলে সরোজেন্দ্র দেব রায়কত জলপাইগুড়ির শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবদান রেখেছিলেন। এদিন পিতা-পুত্রের জন্মদিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল। উমেশবাবুর আক্ষেপ, মনীষীদের মূর্তি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ যথাযথভাবে হচ্ছে না।এদিকে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত বলে অভিমত উমেশবাবুর। জগদিন্দ্র দেব রায়কতের