পুজোর আগেই পর্যটকদের জন্য খুলছে জঙ্গলকন্যা পার্ক ! এসেছে শরৎ, হিমের পরশ/ লেগেছে হাওয়ার ’পরে। শরৎ এসেছে। পেঁজা তুলোর মেঘ ভেসে চলেছে আকাশে। কাশবন ভরে উঠেছে শ্বেতদীপ্তিতে। বাতাসে ভাসছে পুজোর গন্ধ।
মৃন্ময়ী দেবীকে চিন্ময়ী রূপে আবাহনের পালা। ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শুরু হতে বাকি আর এক মাস! আর এই পুজোর গন্ধের সাথে সাথেই ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম অঞ্চলের মানুষের মনে দোল খেয়ে গেলেও খুশির হাওয়া। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো তাদের।
করোনা আছড়ে পড়ায় দীর্ঘদিন বন্ধ ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রামের জঙ্গলকন্যা প্রকৃতি উদ্যান। করোনার কারণে দীর্ঘদিন পর্যটক আসাও স্থগিত ছিল। তবে, বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাই তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাক্কালে পর্যটকদের ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গা পুজোর আগেই পার্ক খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পার্ক কর্তৃপক্ষ ও নয়াগ্রাম ব্লক পঞ্চায়েত সমিতি ও প্রশাসন। সুবর্ণরেখা নদীর তীরে প্রকৃতির স্নিগ্ধ মহিমা নিয়ে ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকে গড়ে উঠেছে এই জঙ্গলকন্যা প্রকৃতি উদ্যান।
আর ও পড়ুন জলের তোড়ে ভেসে গেল চারচাকা গাড়ি, প্রাণে বাঁচলো চালক
কলকাতাসহ পাশের রাজ্য ঝাড়খন্ড উড়িষ্যা থেকে কম- বেশি পর্যটকরা ভিড় করেন সারা বছর। নানান ধরনের ফল, বাহারি ফুল গাছ সহ কংক্রিটের হাতি, হরিণ, ডাইনোসর তৈরি করে সাজানো হয়েছে এই উদ্যান। আর পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে স্রোতস্বিনী সুবর্ণরেখা। প্রকৃতির অপূর্ব বৈচিত্র্যময় শোভা মুগ্ধ করে সকলকে। পার্কের পাশেই রয়েছে রাজ্যের দীর্ঘতম সেতু জঙ্গলকন্যা।
পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র এটিও। করোনার তৃতীয় ঢেউ দোর গোড়ায় তাই পার্ক খুললেও, সতর্কতায় মুড়ে ফেলা হয়েছে পার্ককে। অন্যরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ পার্ক কর্তৃপক্ষ। বিধি নিষেধ মেনেই পার্কে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে। পার্কের প্রবেশাধিকার পেতে গেলে পর্যটককে করোনার দুটি টিকা অথবা আরটিপিসিআর টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়া বাধ্যতামূলক।
এছাড়াও প্রত্যেক ব্যক্তি কে মাস্ক, স্যানিটাইজার সহ মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্ববিধি। তবে পুজোর আগেই পার্ক খোলার মত এত বড় একটি সুখবর পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত স্থানীয় মানুষজন।