শীতকালে রোজ খান লালশাক, জটিল ব্যাধি থেকে থাকুন দূরে । চিকিৎসকেরা বলেন, মরশুমি ফল, সবজির পুষ্টিগুণের জন্য জটিল রোগব্যাধির সমস্যাও অনেকটাই কমে যায়। তবে সবজির নাম শুনলেই তো আবার মুখ বেঁকে যায় অনেকের। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে শরীর সুস্থ রাখতে এমনকী, ঝকঝকে, উজ্জ্বল ত্বকের আকাঙ্ক্ষা যাঁদের, তাঁদের শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শই দেন পুষ্টিবিদেরা।
শীতকালের অন্যতম জনপ্রিয় সবজির একটি হল লালশাক। শীতের দুপুরে অধিকাংশ বাঙালির পাতেই থাকে লালশাক ভাজা। ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতে লালশাক ভাজা খাওয়ার মজাই যেন আলাদা। তবে সবজি যাঁদের না-পসন্দ, এর উপকারিতা জানলে খেতে ইচ্ছে করবেই।
পুষ্টিবিদদের মতে, শীতকালের একটি সুপারফুড হল লালশাক। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর লালশাক বহু রোগের জন্য উপকারী। ১০০ গ্রাম লালশাকের মধ্যে ক্যালসিয়াম আছে ৩৭৪ মিলিগ্রাম। প্রোটিন আছে ৫.৩৪ গ্রাম। প্রতিদিন খেলে শরীর সতেজও থাকে। তাছাড়াও এর বহু উপকারিতা রয়েছে।
আর ও পড়ুন শীত পড়তেই মালদায় বাড়ছে দুস্কৃতিদের তান্ডব
কোলেস্টেরলের সমস্যায় যাঁরা চিন্তিত, তাঁদের রোজ লালশাক খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। লালশাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তাছাড়াও অ্যান্টি ক্যানসার গুণাবলীও রয়েছে এর মধ্যে। ভিটামিন এ-তে ঠাসা লালশাক রেটিনার কার্যক্ষমতা বাড়ায়। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য এটি ভীষণ উপকারী।
লালশাকে প্রচুর আয়রন রয়েছে। ফলে অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার মতো সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁরা রোজ খান লালশাক। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে লালশাক। ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা খেলে উপকার পাবেন।
লালশাকে ক্যালোরির পরিমাণ অত্যন্ত কম। ফলে রোজ খেলেও ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং এটি পেট ভর্তি রাখে। চটজলদি খিদেও পায় না। এবং ওজন কমে। লালশাকে প্রচুর ফাইবার রয়েছে। ফলে খাবার চটজলদি হজম হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার সমাধান করতেও এর জুড়ি মেলা ভার।অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি, ভিটামিন ই রয়েছে লালশাকে। এই উপাদানগুলো শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। ফলে কিডনি পরিষ্কার রাখে।
লালশাকে ক্যালসিয়াম রয়েছে অনেকখানি। যা গর্ভাবস্থায় মেয়েদের জন্য খুবই উপকারী। লালশাক দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। শরীরে শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে এটি।