জনসংযোগের মধ্য দিয়ে নতুন তৃণমূল গড়ে তোলার বার্তা দিলেন মমতা

জনসংযোগের মধ্য দিয়ে নতুন তৃণমূল গড়ে তোলার বার্তা দিলেন মমতা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
জনসংযোগের

জনসংযোগের মধ্য দিয়ে নতুন তৃণমূল গড়ে তোলার বার্তা দিলেন মমতা।  মে মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যজুড়ে জনসংযোগ কর্মসূচিতে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে দলের বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠকে ওই ঘোষণা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠানে দলের বিধায়কদের বাজেট অধিবেশনে প্রতিদিন হাজির থাকতে নির্দেশ দেন তিনি।গত বছর ২ মে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল। সেই দিন থেকেই ওই জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করার কথা ঘোষণা করেও শেষপর্যন্ত তা ৫ মে করে দেন মমতা। কারণ ২ মে ইদ।

 

৫ মে তৃতীয়বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ওই জনসংযোগ কর্মসূচি চলবে ২১ জুলাই পর্যন্ত। মমতা বলেন, ২ মে পবিত্র দিন। ৫ তারিখ আমি শপথ নিয়েছিলাম। ওই দিনই জনসংযোগ যাত্রা শুরু করা হবে।রাজ্যজুড়ে জনসংযোগ কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, আগামী ২৬ এপ্রিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হচ্ছে। ওই পরীক্ষা শেষের পর ২ মে আমাদের তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার এক বছর পূর্ণ হবে। ওই দিন থেকে আমি চাই লাগাতার আমার ব্লক প্রেসিডেন্টরা, ছাত্র-যুবরা, এমএলএ-এমপিরা তারা গ্রাম গ্রামে ঘুরবে, ব্লকে ব্লকে যাবে। দরকার হলে খাটিয়ায় শোবে, এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলবে এবং জনসংযোগ করবে। আগামী ২মে থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত জনসংযোগ হবে।

 

আর ও পড়ুন    ট্রেনে নতুন স্টপেজ সংযোজনের সিদ্ধান্ত বাড়ানো হলো

 

তার পর থেকে পুজো পর্যন্ত ফের একটা প্রোগ্রাম করব। এরপর থার্ড ফেজ। শরীর যত নাড়াব তত ভালো থাকবে। যারা শারীরিকভাবে সক্ষম তারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে ওই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। আপনাদের কাজ জনসংযোগর মধ্যে দিয়ে তৃণমূল পরিবার তৈরি করা। কারও সমস্যা থাকলে তাদের দুয়ারে সরকার-এ নিয়ে যাওয়া, পাড়ায় সমাধান করে দিতে হবে। বাজেট অধিবেশনে দলের বিদায়কদের হাজিরা নিয়ে মমতা বলেন, বিধানসভায় রোজ এখন আসতে হবে। কারণ এটা বাজেট সেশন। অনেক ভোট হবে। সেখানে হেরে গেলে সরকার হেরে যাবে। এটা মনে রাখতে হবে।

 

দলের নেতা-কর্মীদের মমতা মনে করিয়ে দেন, ভোটে জিতলাম আর ভুলে গেলাম তা কিন্তু নয়। আজকের যুগে সবসময় সক্রিয় থাকতে হয়। নষ্ট করার মতো সময় হাতে নেই। ২০২৪ সালে যদি বিজেপিকে হঠাতে হয় তাহলে বাংলার ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলুন। পঞ্চায়েত ও মিউনিশিপ্য়ালিটিগুলিকে বলছি, আমরা কিন্তু এবার লক্ষ্য রাখব মানুষের কাজ অনলাইনে হচ্ছে কিনা। লোককে পরিষেবা দিতে হবে। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top