জমি জট কাটল, কুলিয়া সেতু তৈরির উদ্যোগ। হাওড়া জেলার সাথে দীপাঞ্চল ভাটোরার যোগাযোগের জন্য কুলিয়ায় বাঁশের সেতুর পরিবর্তে একটি পাকা সেতুর পরিকল্পনা হয়েছিল বছর ৪ আগে। সেইমত সেতুর নকশা থেকে শুরু করে মাটি পরীক্ষা সব কিছুই হয়েছিল। অবশেষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমি মালিকদের কাছ থেকে জমি কেনার উদ্যোগ নেওয়ায় সেতু তৈরির পথ অনেকটাই প্রশস্ত হল। প্রশাসন সূত্রে খবর সেতুর লাগোয়া এ্যাপ্রোচ রোডের জন্য ২ কোটি ১১ লক্ষ ৭১ হাজার ৩৮১ টাকা দিয়ে জমির মালিকদের কাছ থেকে ৩.৩৪৭৫ একর জমি কেনা হচ্ছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জমির মালিকদের হাতে এই টাকা পৌছে যাবে।
জেলার দীপাঞ্চলে নদী পারাপারের হওয়ার জন্য নৌকাই একমাত্র ভরসা ছিল দীপাঞ্চলের বাসিন্দা ৭০ হাজার মানুষের। এলাকার মানুষের যোগাযোগর পথ সুগম করতে বাম আমলে আমতার বিধায়ক অসিত মিত্র নদীর উপরে একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেয়। সেইমত ৭ কোটি টাকা ব্যায়ে একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয় এবং ২০০৬ সালে তৎকালীন অর্থ মন্ত্রী অসিম দাশুগুপ্ত সেতুটি নির্মাণের জন্য শিল্যানাস করলেও পরবর্তী সময়ে সেতু তৈরীর পরিকল্পনা ঠান্ডাঘরে চলে যায়। পরে ২০১১ সালে এলাকার মানুষের সুবিধার্থে কুলিয়ায় নদীর উপরে ৫৪০ ফুটের একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়।
এরপর ২০১৮ সালের ৮ জুন জেলার রিভিও মিটিং থেকে কুলিয়ায় পাকা সেতুটি তৈরী করার বিষয়ে সেচ দপ্তরকে রির্পোট দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই প্রাশসনের কাছে সার্ভে রির্পোট জমা পড়ে। প্রশাসন সূত্রে খবর ১৫০ মিটার লম্বা ও ১২মিটার চওড়া সেতুটি নির্মান করা ছাড়াও সেতুর দুইপ্রান্তে ৪৫৫ মিটার এ্যাপ্রোচ রোড নির্মান করা হবে। প্রশাসনের কর্তারা জানান সেতু ও এ্যাপ্রোচ রোড নির্মান করতে মোট ব্যায় হবে ২২ কোটি ৫৬ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬৮৫ টাকা।
আর ও পড়ুন আন্তর্জাতিক স্তরে খেলার ছাড়পত্র পেলেন মালদার তনুশ্রী লালা
যার মধ্যে শুধুমাত্র সেতুটি নির্মান করতে ব্যায় হবে ১৭ কোটি ৪৯ লক্ষ২০ হাজার ৩৩১ টাকা। সেতু নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে একাধিকবার টেন্ডার ডাকার পর গত ২৬ মে পুনরায় টেন্ডার ডাকা হয়েছে। সেতু নির্মান প্রসঙ্গে আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল জানান দীপাঞ্চলের মানুষের সুবিধার্থে মুখ্যমন্ত্রী নতুন পাকা সেতু তৈরীর কথা বলেন। সেইমত আমি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতায় সেতুটি দ্রুত তৈরীর উদ্যোগ নিই। সেতুটি নির্মান হয়ে গেলে দীপাঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।