নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ৪ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার একটি জমি দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীতে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। দুই পক্ষের মধ্যে চলে ভাঙচুর, ইটবৃষ্টি ও অগ্নিসংযোগ।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।এই সংঘর্ষে দুই পক্ষের আহত হয় মোট ১১ জন।সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হন এক পুলিশ কর্তা এসআই গৌতম মাহাতো। আহতদের তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় মশালদহ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
জানা গিয়েছে মোঃ শফিকুল আলাম ও মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের ২০১১ সাল থেকে ১ একর ৪৭ শতক জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।তবে দুই পক্ষই শাসক দলের নেতাকর্মী বলে দাবি করেন।এই ঘটনায় চাপা উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
আক্রান্তদের আত্মীয় তথা তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের কার্যকারী সভাপতি শফিকুল হক জানান এই জমিটি নিয়ে বিবাদ ২০১১ সাল থেকে এই জমিতে জবর দখল করতে আছে তাদেরই প্রতিবেশী মাইনুল হক নাজমুল হক প্রমুখেরা।এরা বন্দুক পিস্তল নিয়েছে তাকে প্রাণে মারার হুমকি দেন। এবং জমিতে মাটি ভর্তি উদ্যোগী হলে তার কাকা কাকিমারা বাধা দেন সেই সময় অভিযুক্তরা লাঠি বললাম হাসুয়া নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়। সকলেই কংগ্রেস কর্মী। বেধড়ক মারধর করেন তাদেরকে আঘাতে রক্তাক্ত করে দেওয়া হয় এছাড়াও ইটের বাড়ি দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তিনি এই মুহূর্তে প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চান। আইনত ভাবে তারা এই জমিটির মালিক এ বিষয়ে কোর্টের নোটিশ আছে।
অন্যদিকে অভিযুক্ত আলাউদ্দিন বাবু জানান এই জমিটার পাট্টা তাদের কাছে রয়েছে। জমিদার আইনত স্বীকৃত তাদের কাছে আছে। এ বিষয়ে কোর্টের নোটিশ ও তিনি এলাকায় বিলি করেছেন। কিন্তু মুহাম্মদ শফিকুল হক ও মুজাম্মিলএটা মানতে রাজি নয়। এই নেতারা ক্রমাগত বিবাদের সৃষ্টি করছে। গতকাল তারা দলবল নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়েছিল আজও তাদের উপর আক্রমণ করে। জেরে গতকাল কাদের গোষ্ঠীর সাতজন ও আজতিনজন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তারা প্রশাসনের কাছে আর্জি করছেন প্রশাসন থেকে তাদের উপর জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। আক্রমণকারীরা প্রত্যেকে তৃণমূল করেন বলে আলাউদ্দিন বাবু জানালেন।