মালদা – এক সময় যে রেল স্টেশন যাত্রীদের যাতায়াতে ছিল জমজমাট, আজ সেই মালদার বুলবুলচন্ডী রেল স্টেশন পড়ে রয়েছে জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত অবস্থায়। রেল প্রশাসনের তরফে নেই কোনও সংস্কারের উদ্যোগ, যার ফলে ব্যাপক ক্ষোভ জমেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
জানা গেছে, ১৯০৫ সালে বুলবুলচন্ডীতে রেললাইন পাতার কাজ শুরু হয় এবং ১৯০৮ সাল থেকে শুরু হয় ট্রেন চলাচল। এক সময় অসংখ্য যাত্রী এই স্টেশন ব্যবহার করতেন। কিন্তু ২০১৫ সালের পর থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে শুধুমাত্র সিঙ্গাবাদগামী কিছু মালবাহী ট্রেনই মাঝেমধ্যে এই স্টেশন অতিক্রম করে। ফলে স্টেশনটি কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
বর্তমানে স্টেশন চত্বর জঙ্গল আর ঝোপঝাড়ে ঢেকে গেছে। পরিত্যক্ত স্টেশনটি সমাজবিরোধী কার্যকলাপের আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মনোজিৎ ভকত এবং আইনজীবী তথা এলাকাবাসী প্রশান্ত রায়ের কথায়, এক সময় যাত্রীদের আনাগোনায় গমগম করত এই স্টেশন। এখন সেই ইতিহাস শুধুই স্মৃতিচারণার বিষয়।
তাদের দাবি, রেল প্রশাসন যেন অবিলম্বে এই শতাব্দীপ্রাচীন স্টেশনটিকে সংস্কার করে, নতুন করে চালু করে। এতে হবিবপুর, বামনগোলা এবং পুরাতন মালদা ব্লকের সাধারণ মানুষ রেল পরিষেবার দিক থেকে উপকৃত হবেন।
এই প্রসঙ্গে উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু জানান, সাধারণ মানুষের দাবি যুক্তিসঙ্গত। তিনি বলেন, তিন মাস আগে গুয়াহাটি কনফারেন্স হলে আয়োজিত জোনাল রেলওয়ে ইউজার কনসালটেটিভ কমিটির সভায় তিনি বুলবুলচন্ডী স্টেশনের সংস্কারের প্রস্তাব পেশ করেছেন। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী কাজ শুরু হলে বুলবুলচন্ডী থেকে গঙ্গারামপুর হয়ে হবিবপুর, কেন্দপুকুর, পাকুয়াহাট ও নালাগোলা পর্যন্ত নতুন রেল পরিষেবা চালু হতে পারে।
এখন দেখার, বহু প্রতীক্ষিত এই সংস্কার প্রকল্প কবে বাস্তবায়িত হয় এবং কবে আবার প্রাণ ফিরে পায় বুলবুলচন্ডী রেল স্টেশন।
