জলপাইগুড়ি – এসআইআর(SIR) আতঙ্ককে ঘিরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মৃত্যুর অভিযোগ উঠে তৃণমূলের তরফে। এবার সেই আতঙ্কের জেরে জলপাইগুড়িতে কমলা রায় (৫৪)-এর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। বছর ৪০ আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা কমলার পরিবার দক্ষিণ বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতকুড়া গ্রামে স্থায়ী হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ভোটার কার্ড, আধার কার্ডসহ বৈধ সমস্ত কাগজপত্র ছিল তার। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়ও নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল।
পরিবারের দাবি, বাংলাদেশ থেকে আসার কারণে তিনি এসআইআর নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। হাতে এসআইআর-র ফর্ম পাওয়ার পর উদ্বেগ আরও বৃদ্ধি পায়। বুধবার বাড়ি সংলগ্ন কাঁঠাল গাছে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় কমলার দেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন এবং পরিবারের মধ্যে স্ত্রী ও দুই পুত্র রয়েছেন। মৃতের ছেলে তোতোন রায় জানান, “এসআইআর নিয়ে প্রত্যেকদিন বাবা উদ্বিগ্ন থাকতেন। বলতেন, বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে। সেই আতঙ্কে ছিলেন।”
জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার মানিকগঞ্জ আউট পোস্টের পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তৃণমূলের দক্ষিণ বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অন্নকান্ত দাস জানান, “২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম থাকায় আতঙ্কের কোনো কারণ নেই, তবু তিনি ভয় পেয়েছিলেন।” তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিমল দাস বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, “৪০ বছর আগে ভারতে আসা কমলা এসআইআর আতঙ্কে ছিলেন। বিজেপির এসআইআর চক্রান্তের কারণে অনেকের প্রাণ যাচ্ছে।”
অন্যদিকে বিজেপি পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এসআইআর নিয়ে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। জলপাইগুড়ির বিএলএ ইনচার্জ তপন রায় বলেন, “রাজ্যের শাসকদলই মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।”




















