কলকাতার মানুষকে জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে ফিরহাদের বৈঠক । শহর কলকাতার মানুষজনকে জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে বিগত দিনে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতার মেয়র পদে শপথ গ্রহণের পরই শহর কলকাতায় যাতে আগামী দিনে দ্রুত মানুষকে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়া যায় সে লক্ষ্যেই কে ই আই পি, কেএমসি, এডিবি এর মত কাজগুলি যাতে দ্রুত শেষ করা যায় সেই লক্ষ্যেই এদিন কে এই আইপি এর আধিকারিক ও কনট্রাক্টরদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন রাজ্যের পরিবহন ও আবাসনমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এদিন তিনি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য সরকারের এ সম্পর্কীয় উদ্যোগকে দ্রুত বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে যে কাজগুলি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তা দ্রুত শেষ করার জন্য কে এই আইপি এর আধিকারিকদের এবং কনট্রাক্টরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহর কলকাতার কেওড়া পুকুর থেকে যে কাজগুলি শুরু করা হয়েছিল তার সময়সীমা ২০২১ এর ১৫ আগস্ট থাকলেও ২০২২ এর জানুয়ারি মাসে শেষ করার বিষয় নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
বেহালায় এস টি পি এর যে সমস্ত কাজ চলছে সেগুলির যথেষ্ট দিলে হচ্ছে। কনট্রাক্টরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দ্রুত এই কাজ শেষ করার জন্য। কলকাতা পুরসভার ১২৮,১৩২ নম্বর ওয়ার্ডে জল সংক্রান্তঃ যে সমস্ত কাজ ৩১-৮-২০২১ এ শেষ হবার কথা ছিলো, এবং ১১১, ১১২,১১৩ নম্বর ওয়ার্ড ও বিবেকানন্দ রোডের যে সমস্ত কাজ এডিবি এর মাধ্যমে করা হচ্ছিল সেই কাজ গুলোই যথেষ্ট ডিলে হচ্ছে। এগুলিকে ও অতি দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আর ও পড়ুন দ্বারকেশ্বর নদের চরের মুড়ি মেলায় মুড়ি খেতে হাজার হাজার মানুষের ভিড়
শহর কলকাতায় নতুন আরও ২০০পাম্প বসানোর কথা তৃণমূল কংগ্রেসের ম্যানিফেস্টোতে উল্লেখ করা হয়েছিল তার কাজ ও দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। ৭৬ টি নতুন পাম্প ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে। এরমধ্যে ছটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প জার্মানি থেকে আনা হয়েছে, বলে এ দিন জানান ফিরহাদ।
পাশাপাশি খিদিরপুর নবাব আলী পার্কে নতুন পাম্পিং স্টেশন করার বিষয়টিও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বলে এ দিন জানান তিনি। যেভাবে কে এই আইপি এর কাজ ও বিভিন্ন প্ল্যানিংয়ে ইম্প্লেমেন্ট করা হচ্ছে, তার ফলস্বরূপ আগামী তিন বছরের মধ্যে শহর কলকাতায় ভারী বৃষ্টি হলে বেহালা এলাকায় জল জমবে না এমনই আসার কথা জানালেন ফিরহাদ।
শহর কলকাতায় বিশেষ করে উত্তর কলকাতার শিয়ালদহ এর বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ড্রেনেজ সিস্টেম এর আরো উন্নতি ঘটাতে ডি শিল্ডিং এর কাজ দ্রুত শুরু করা হবে, এর জন্য ১৪০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। ইতিমধ্যেই শহর কলকাতা জুড়ে এ ধরনের তেইশটি প্রজেক্ট এর কাজ চলছে,,, আশা করা যায় এ বছর মার্চ মাসের মধ্যেই সে সমস্ত কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলেও এ দিন জানান ফিরহাদ হাকিম।