ইছামতীর প্রবল জলোচ্ছাসে কাঁচা বাঁধ ভেঙে গোটা বাড়িই চলে গিয়েছে নদীগর্ভে, অশনির সংকেতে আতঙ্কিত সীমান্তের গ্রাম । দুর্বল হয়েছে অশনি। শক্তি হারাতে চলেছে সাগরেই। কিন্তু তার মধ্যেও দুশ্চিন্তা কাটছে না ইছামতি পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে। বিগত দিনগুলির ঝড়ে তারা দেখেছেন চোখের সামনে ইছামতী নদীর পাড়ে কাঁচা বাঁধ ভেঙে গোটা বাড়িই চলে গিয়েছে নদীগর্ভে।
তাই নতুন করে ঝড়ের খবরে স্বস্তিতে নেই ইছামতি পাড়ের মানুষরা। বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ১নং ব্লকের গাছা আখারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শেষ গ্রাম আখারপুরে নদীর পাড়ের বাসিন্দারা বেজায় সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। গত পাঁচ বছর ধরে কাঁচা বাঁধ ভেঙে পড়ে রয়েছে। তারমধ্যে কেটে গিয়েছে আম্ফান, বুলবুল, ফণী ও ইয়াশের মতো একাধিক ঘূর্ণিঝড়।
কিন্তু বাঁধের মেরামতি এখনো হয়নি। বেশ কিছু বাড়ি ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। আরো কয়েকটি বাড়ি যেকোনো মুহূর্তে প্রবল জলোচ্ছাসে নদীগর্ভে চলে যাবে। তাই নিয়ে প্রবল আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এই নদী পাড়ের মানুষজন। ইতিমধ্যে অশনির সংকেতে বেশ কিছু পরিবার বাড়ি ছেড়ে নিকটবর্তী স্কুলে চলে গিয়েছেন। কারন তারা জানেন না তখন তাদের বাড়ি নদী নিয়ে চলে যাবে।
আর ও পড়ুন আজ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মজয়ন্তী
বারবার বসিরহাট মহকুমা জুড়ে বাঁধ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। এলাকায় গিয়ে দেখা যাচ্ছে কাঁচা বাঁধ গুলি পুরোপুরি ভেঙে নদীতে চলে গিয়েছে। বাঁধের কোনো অস্তিত্বই নেই। এমনকি সিমেন্টের বস্তা যেগুলি জলোচ্ছ্বাস প্রতিরোধ করার জন্য দেওয়া হয়েছিল সেগুলিও সব নদীতে। কিন্তু সেচ দপ্তরের আশ্বাসই সার। আখেরে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। তারা চাইছেন দ্রুত যেন তাদের বাঁধ সংস্কার করা হয়।
নয়তো আগামী দিনে প্রচুর বাড়ি নদীবক্ষে চলে যাবে। বসিরহাটে মহাকুমার বিপর্যয় মোকাবেলা আধিকারিক সুশান্ত কুমার মাইতি বলেন, বিগত দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে সব রকম প্রস্তুতি চূড়ান্ত নিয়েছি পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে গানের ব্যবস্থা করেছি স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে পানীয় জল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রস্তুতি নিয়েছে যে কোন বড় বিপর্যয়ের হওয়ার আগে সব রকম প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়ে গেছে।