জল্পনার অবসান, সামনে আসলো নুসরতের ছেলের পিতৃ পরিচয়”। অবশেষে সামনে আসলো “নুসরত জাহানের ছেলের পিতৃ পরিচয় ?” নুসরাত জাহান পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন গেল ২৬ আগস্ট। ছেলের নাম রেখেছেন ঈশান জে দাশগুপ্ত।
এমন আনন্দের খবরেরও চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে নায়িকা আলোচনায় তাঁর এই পুত্র সন্তানের বাবা কে সেটা নিয়ে। গুঞ্জন ছিল, নুসরাতের ছেলের বাবা তাঁর প্রেমিক অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। অবশেষে সেই গুঞ্জন সত্যির প্রমাণ পাওয়া গেল কাগজপত্রে। কলকাতা পৌরসভার ওয়েবসাইটে নুসরাত ছেলের জন্মসনদে বাবার নামের স্থানে দেবাশিস দাশগুপ্তের নাম লিখিয়েছেন; যেটা অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের কাগজপত্রের নাম।
আর ও পড়ুন অনেকটাই কমতে পারে পেট্রোলের দাম, হতে পারে লিটার প্রতি ৭৫ টাকা
বুধরার রাত ১০টার পর পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ জন্ম সনদের ওয়েবসাইট আপডেট করতেই এমন তথ্য জানা গেছে। যদিও এখনও সন্তানের বাবা কে তা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি নুসরাত জাহান।
গত শনিবার কলকাতা পুরসভা থেকে একসঙ্গে করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন যশ ও নুসরত। এদিন ঈশানের বার্থ সার্টিফিকেট সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জেনে নেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, সার্টিফিকেটে শুধু সন্তানের মায়ের নাম রাখার আইনী জটিলতা সম্পর্কেও সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করেন সাংসদ -নায়িকা।
সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও ‘সিঙ্গেল মাদার’ শুধুমাত্র তাঁর নিজের নামে সন্তানের জন্মের শংসাপত্র বের করতে পারেন। এদিন পুরসভার তরফে নুসরতকে সেকথা জানানো হয়েছে বলে খবর। ‘সিঙ্গেল মাদার’-র পরিচয়ে ঈশানকে বড় করবেন, এই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন নুসরত বারবার।
এ
তদিন পর্যন্ত নিজের সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়ে সরাসরি মুখ খোলেননি নুসরত জাহান। নেটিজেনরাও একের পর এক প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিয়েছেন সদ্য মা হওয়া নায়িকার দিকে। বারবার প্রশ্ন উঠছে সন্তানের বাবা কে? নায়িকার প্রেগন্যান্সির খবর সামনে আসার পর থেকেই কটাক্ষের শিকার হতে শুরু করেন তিনি। তবে এত কটাক্ষ, নেগেটিভিটির মধ্যে বহু নেটাগরিক সমর্থনের হাতও বাড়িয়ে দেন নায়িকার দিকে। তাঁদের মতে, ‘স্বাধীন নারী’ কিংবা ‘সিঙ্গেল মাদার’ হওয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী উদারণ নুসরত জাহান।
দীর্ঘদিন প্রেমের পর ২০১৯ সালের ১৯ জুন রাজকীয় আয়োজনে নিখিল জৈনের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন নুসরাত জাহান। বছরের শুরুতেই স্বামী ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের সঙ্গে সংসার ভালো যাচ্ছে না নুসরাতের, আর অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে প্রেম করেছেন তিনি। এর পর খবর আসে স্বামীর সঙ্গে নায়িকার বিচ্ছেদের। ’