জাগ্রত হলহলিয়া মা কালী ৭৫তম বর্ষে পদার্পণ। প্রাচীনকাল থেকেই জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়ুলির হলহলিয়া কালীমায়ের পূজা হয়। প্রতিবছরের মতো এবছরেও নিয়ম নিষ্ঠার সাথে পূজিত হয়ে আসছেন হলহলিয়া কালী মায়ের পূজা। সনাতন ধর্মেও কালী বা কালিকা হলেন শক্তির দেবী।
কালীপুজো বা শ্যামাপুজোকে কেন্দ্র করে কার্তিক মাসের অমাবস্য়া তিথিতে দেবী কালীর আরাধনা করা হয়। ময়নাগুড়ি-ধুপগুড়ি ৩১নং জাতীয় সড়কের ধারে অবস্থিত হলহলিয়া কালী মায়ের মন্দির অবস্থিত। এদিন রাতভোর প্রচুর পুণ্যার্থী লাইনে দাঁড়িয়ে মাকে দর্শন এবং প্রার্থনা করতে দেখা যায়। এবছর ৭৫তম বর্ষে পদার্পণ করেন হলহলিয়া সর্বজনীন শ্রী শ্রী কালী পূজা কমিটি। বুধবার দীপান্বিতা কালীপুজো বিশেষ জনপ্রিয়।
আলোকসজ্জা ও আতসবাজির উত্সবের মধ্যে দিয়ে এই তিথিতে সারারাত কালীর আরাধনায় মেতে থাকেন হলহলিয়া পূজা কমিটি। এদিন মায়ের মন্দিরে আসাম রাজ্য এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর ভক্তরা দেবীর কাছে আশীর্বাদ এবং মনস্কামনা পূরণ করার জন্য দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন মায়ের কাছে, কখনও কেউ খালি হাতে ফেরত যায় না। সকলের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন এই মা। নিয়ম মেনেই রাত ভোর মাকে উৎসর্গ করেই চলে পায়রা এবং পাঠা বলি। পূজার মারেয়া ভবেশ রায় বলেন, “দীর্ঘ বছর ধরে নিয়ম নিষ্ঠার সাথে এই মায়ের আরাধনা চলে।
আরও পড়ুন – বাঁশের কারুকার্যে নজর কারা থিম ধূপগুড়ির ইয়ং অ্যাসোসিয়েশনের
এ বছরও তার ব্যতিক্রমই হয়নি। দূর-দূরান্ত থেকে প্রচুর মায়ের ভক্তরা এই মন্দির প্রাঙ্গণে আসেন। মা খুব জাগ্রত, মায়ের কাছে এসে কেউ খালি হাতে ফিরে যায়নি।” অন্যদিকে প্রতিবছরের মত এ বছরও দশ হাজারও বেশি পুণ্যার্থীদের মধ্যে ফল, ভোগ এবং খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এবছর ৭৫ বছর উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে জানান পূজা কমিটির তিন সদস্য সঞ্জয়, দীপঙ্কর, পরমেশ। জাগ্রত হলহলিয়া