রাজ্য – বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘ সংগ্রামী জীবন, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রশাসনিক সাফল্যকে কুর্নিশ জানিয়ে তাঁকে সাম্মানিক ডি’লিট (Honorary D.Litt.) উপাধি প্রদান করছে জাপানের ইউকোহামা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (Yokohama National University, Japan)। আজ, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ধনধান্য স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীকে এই সম্মান প্রদান করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা।
এর আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (University of Calcutta), সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় (St. Xavier’s University) এবং ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি (KIIT) মুখ্যমন্ত্রীকে সাম্মানিক ডি’লিট প্রদান করেছিল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে একটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, যা বাংলার প্রশাসনিক সাফল্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবেই ধরা হচ্ছে।
২০১৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্মানিক ডি’লিট পান। সেই সময় রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী তাঁকে সম্মানিত করেছিলেন। ২০২৩ সালে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে ডি’লিট প্রদান করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। ভুবনেশ্বরের ‘কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি’ (KIIT) থেকেও মুখ্যমন্ত্রী সাম্মানিক ডক্টরেট পেয়েছিলেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের মতে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক দৃষ্টিভঙ্গি, নারী ক্ষমতায়ন নীতি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রশাসনিক দর্শনই আন্তর্জাতিক মহলে তাঁকে স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার উন্নয়ন মডেল এখন বিশ্ব দরবারে এক অনন্য উদাহরণ।
জানা গেছে, ইউকোহামা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষা ঐতিহ্য ১৫০ বছরেরও বেশি পুরনো। সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ডি’লিট সম্মান প্রদান রাজ্যের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এটি শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং গোটা বাংলার গর্বের প্রতীক।




















