১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৫ ডিসেম্বর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় ঘটে যাওয়া ঘটনায় পুলিশের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বহুজন।সেদিনের ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছিল দিল্লি পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজের লাইব্রেরিতে প্রবেশ করে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের লাঠি দিয়ে মারতে থাকে।তবে তার ভিডিও সামনে আসতে নেটিজেনদের বক্তব্য যারা হামলা চালায় তারা পুলিশ নয় বিক্ষোভকারী।ভিডিও নিয়ে নানান জল্পনা শুরু হয়।দেখা যায়, পুলিশ মুখে কাপড় দিয়ে ঢোকে এবং পড়ুয়াও মুখ রুমাল দিয়ে ঢাকছে। পড়ুয়া হলে কেন লাইব্রেরিতে রুমালে মুখ ঢাকছেন এই নিয়ে বহু প্রশ্ন ওঠে।এবার সংবাদ চ্যানেল ইন্ডিয়া টুডে টিভি দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে থাকা একটি ভিডিয়ো সামনে এনেছে।সেই ভিডিও কিছু অন্য জিনিস দাবি করছে।
ভিডিওটি পুরোপুরি আন এডিটেট। রবিবার তাঁদের তরফ থেকে এই ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে।ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে কয়েকজন লোক পাথর নিয়ে লাইব্রেরিয়ে প্রবেশ করছে। দিল্লি পুলিশ (Delhi Police Crime Branch) দাবি করেছে যে ভিডিয়োতে থাকা ব্যক্তিরা হলেন “দাঙ্গাকারী” যারা ১৫ ডিসেম্বর পুলিশের হানার সময় সময় লাইব্রেরিতে আশ্রয় নিয়েছিল।তখন জামিয়া লাইব্রেরিতে কয়েকজন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। সেসময় কয়েকজন তাদের মুখ ঢেকে লাইব্রেরিতে প্রবেশ শুরু করে। তাদের হাতে পাথর ছিল। প্রায় ১৫-২০ জন ব্যক্তি লাইব্রেরিতে প্রবেশ করার পর একটি টেবিল টেনে নিয়ে লাইব্রেরির গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ক্রাইম ব্রাঞ্চে সূত্র ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে বলেছে যে জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল কিছুজন। এরপর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছিল। সূত্রের খবর, অশান্তির সময় ‘দাঙ্গাবাজদের’ পুলিশ তাড়া করলে তারা তখন লাইব্রেরিতে প্রবেশ করেছিল। এরপরে পুলিশ পিছনের গেট থেকে প্রবেশ করে কলেজে লাঠিচার্জ করে।ফের একবার ভিডিওটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে এমনটাই জানিয়েছে।ফের একবার ভিডিওটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে এমনটাই জানিয়েছে।