পুর্ব মেদিনীপুর – ৩০এপ্রিল দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জায়ান্ট স্ক্রিনের সাহায্যে পূর্ব মেদিনীপুরের সর্বত্র সরাসরি দেখানো হবে। সেইমতো প্রতিটি ব্লকের বিডিওকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী। জেলার ২৫টি ব্লক ও পাঁচটি পুরসভা এলাকায় তারই প্রস্তুতি চলছে। প্রচণ্ড গরমে খোলা জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হবে না।বিভিন্ন হলঘরে মানুষজন যাতে নিশ্চিন্তে বসে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে পারেন তার সবরকম ব্যবস্থা চলছে। জেলাশাসক বলেন, জেলাজুড়ে এলইডি স্ক্রিনের সাহায্যে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি দেখানো হবে।জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিন শাসকদলের পক্ষ থেকেও জেলার নানা জায়গায় এলইডি স্ক্রিনের সাহায্যে সরাসরি অনুষ্ঠান দেখানোর ব্যবস্থা করা হবে। এর পাশাপাশি এলাকার পুরোহিতদের সংবর্ধনা জানানো হবে। এছাড়াও বিভিন্ন মোড়ে সভা করে এনিয়ে প্রচার চালানো হবে। ভগবানপুর-২ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দীপঙ্কর খাটুয়া বলেন, আমরা দলের পক্ষ থেকে জায়ান্ট স্ক্রিনে ওই অনুষ্ঠান সরাসরি দেখানোর ব্যবস্থা করব। পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বয়স্ক ব্রাহ্মণদের সংবর্ধনা জানানো হবে। দলের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মেগা ওই ইভেন্ট ঘিরে রাজ্যজুড়ে কাউন্টডাউন চলছে। প্রস্তুতির কাজও পুরোদমে চলছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের দুই মন্ত্রী দীঘায় আসেন। পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এদিন দীঘা ডিপো থেকে দীঘা-বহরমপুর ও দীঘা-তারাপীঠ নতুন দু’টি সরকারি বাস পরিষেবা উদ্বোধন করেন। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এদিন দপ্তরের শীর্ষ অফিসারদের সঙ্গে ভিজিট করে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোট ১০০জন দমকল কর্মী দীঘায় থাকবেন। ২০টি দমকলের ইঞ্জিন আনা হচ্ছে। এছাড়াও ২৫টি বাইকে পোর্টেবল পাম্প এবং অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নিয়ে কর্মীরা প্রস্তুত থাকবেন। বিভাগের ডিজি সহ মোট ১৫জন শীর্ষস্তরের অফিসার এবং ১৫জন ইন্সপেক্টর থাকবেন। মোট পাঁচটি অস্থায়ী হেলিপ্যাড এবং পাঁচটি পার্কিংজোন করা হয়েছে। প্রতিটি হেলিপ্যাড এবং পার্কিংজোনে দমকলের ইঞ্জিন থাকবে।জগন্নাথ মন্দির চত্বরে হ্যাঙার টাঙিয়ে মঞ্চ তৈরির কাজ জোর গতিতে চলছে। সেখানে ছ’হাজার চেয়ার পাতা চলছে। মোট ৩০০কুলার আনা হয়েছে। মন্দিরের সামনের গ্রাউন্ডে একাধিক আটচালা কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই হোমযজ্ঞ হবে। মন্দিরের বাইরে রাস্তার ধারে পার্ক আলোয় সেজে ওঠেছে। সুসজ্জিত পার্ক, জলাশয় ও আলোর রোশনাই গোটা এলাকার চেহারা বদলে দিয়েছে।
