দেশ – দেশের কর ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের পথে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এবার থেকে জিএসটির চারটি স্ল্যাবের পরিবর্তে থাকবে মাত্র দুটি স্ল্যাব। বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেন, এখন থেকে কেবলমাত্র ৫ শতাংশ ও ১৮ শতাংশ—এই দুটি জিএসটি স্ল্যাব কার্যকর হবে। এর ফলে টিভি, ফ্রিজ থেকে শুরু করে দুধ, রুটি, মাখনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় একাধিক পণ্যের দাম কমতে চলেছে। পাশাপাশি গাড়ি, বাইক ও অটোমোবাইল খাতেও ক্রেতাদের জন্য স্বস্তির বার্তা মিলবে।
জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও কাউন্সিলের অন্যান্য সদস্যরা জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের মূল লক্ষ্য কর কাঠামোকে সহজ ও কার্যকর করা। তবে সিদ্ধান্তের পরই প্রশ্ন উঠেছে, স্ল্যাব কমানোর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজস্বে ঘাটতি তৈরি হবে কি না। এই প্রসঙ্গে রাজস্ব সেক্রেটারি অরবিন্দ শ্রীবাস্তব স্পষ্ট করে বলেন, “জিএসটির এই সংস্কারের কারণে আনুমানিক ৪৮ হাজার কোটি টাকার প্রভাব পড়তে পারে। তবে এটিকে রাজস্বের ক্ষতি বলা যাবে না। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের হিসাব অনুযায়ী এই অনুমান করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, জিএসটি সংস্কারের ফলে ক্রেতাদের হাতে আরও টাকা থাকবে, যা তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াবে। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে। খাবার, পরিবহন এবং অটোমোবাইলসহ একাধিক খাতে চাহিদা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। শ্রীবাস্তবের কথায়, “জিএসটির হারে পরিবর্তন হওয়ায় সাধারণ মানুষের খরচের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ফলে অর্থনীতির গতি আরও ত্বরান্বিত হবে।”
কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, জিএসটির নতুন স্ল্যাব অর্থনীতিতে কোনো বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। বরং এই সিদ্ধান্ত আর্থিকভাবে টেকসই হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বাড়াবে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও আশাবাদী যে এই পরিবর্তনের ফলে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
