জীবন- জীবিকা বাঁচাতে বর্ষা মরসুমের শুরুর আগেই পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে জেলা প্রশাসন ভবনের সামনে বিক্ষোভ। মালদা জেলার মূল সমস্যা গঙ্গা ভাঙ্গন। ২০১৫ সালে তলিয়ে গেছে চাষের জমি সহ বসতভিটা। সেই সময় থেকে জমির কথা বলা হলেও মেলেনি পূর্ণবাসন ও ক্ষতিপুরন। ফলে অসহায় হয়ে বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরছে গঙ্গা ভাঙ্গন কবলিত এলাকার গ্রামবাসীরা। এমনই ঘটনা মালদা কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের বীরনগর এলাকার। যার ফলে জীবন- জীবিকা বাঁচাতে বর্ষা মরসুমের শুরুর আগেই পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে কয়েকশো গ্রামবাসী নিয়ে জেলা প্রশাসন ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান গঙ্গা ভাঙ্গন কবলিত এলাকার গ্রামবাসীরা।
এদিন ব্যানার প্ল্যাকার্ড হাতে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে শহরে মিছিল করে জেলা প্রশাসন ভবনে আসেন। সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে গ্রামবাসীরা এরপর অবস্থান-বিক্ষোভ এবং ভাঙ্গন কবলিত এলাকার কয়েকজন মহিলা পুরুষ। ভাঙ্গন কবলিত এলাকার এক বাসিন্দা জানান কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের বীরনগর এলাকায় ২০১৫ সালে ব্যাপক ভাঙ্গন হয়।যার ফলে বসতভিটা ও চাষের জমি তলিয়ে যায় গঙ্গা ভাঙ্গন সেই সময় থেকে অসহায় ভাবে দিন যাপন করতে হচ্ছে।সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত মেলেনি ক্ষতিপূরণ। বিডিও দপ্তর সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি।সামনে রয়েছে বর্ষার মরসুম আবার ভাঙ্গন শুরু হবে।
আরও পড়ুন – গরমে মেকআপ ঠিক রাখার উপায়
যার ফলে এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। এক সময় আমরা দেখেছি নদীর জলে হেলতো বীর নগরের মানুষ।এখন শুকনো জায়গায় হেলছে মানুষ। ফলে সমস্যায় পড়েছে মানুষ।তাই এদিন আমরা ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি নিয়ে জেলা শাসকের কাছে সাত দফা দাবিতে ডেপুটেশন দিতে এসেছি।যদি সুরাহা না হয় আমরা বৃহত্তর আন্দোলন করবো। রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানান, তাদের দাবিগুলো ন্যায়সংগত।প্রতিবছর এই ভাঙ্গন সমস্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু মানুষ। আর এই বিশাল ভাঙ্গন সমস্যার সমাধান রাজ্য সরকারের পক্ষে সম্ভব নয় । এটা বর্তমানে জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে । কেন্দ্র সরকারের সহযোগিতা ছাড়া এটা সম্ভব নয় বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার কোনো সহযোগিতা করছে না।রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব ভাঙ্গনরোধে কাজ শুরু হয়েছে।