নিজস্ব সংবাদদাতা, বীরভূ্ম ০৬.১১.২০১৯, বোলপুরের ত্রিশূলাপট্টির বছর বছর একান্নর আনন্দময়ী দাস নামে এক বৃদ্ধা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার বিকালবেলা বোলপুর সুপার স্পেশালিটিতে আনা হয়। ডাক্তার দেখে জানান বৃদ্ধা আনন্দময়ী দাস বেঁচে নেই। মৃত বৃদ্ধাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিছুক্ষনপর বৃদ্ধার পরিবার পুনরায় হাসপাতালে আসেন। তাঁদের দাবি বৃদ্ধা বেঁচে ছিলেন, চিকিৎসকেরা তাঁদের কাজে গাফলতি করেছেন।
বৃদ্ধার পরিবার জানান, বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের রোগী হঠাৎ হাত পা নাড়তে থাকে, পাশাপাশি শ্বাসপ্রশ্বাসও চলতে থাকে।এমনকি রাস্তায় যাওয়ার সময় জলও খান তিনি। ঘটনার পর পুনরায় ওই রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসালে আবারও মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পরিজনদের অভিযোগ, প্রথমে যখন হাসপাতালে আনা হয়েছিল তখন যদি তাকে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা শুরু করত চিকিৎসকরা তাহলে হয়তো বেঁচে যেতে পারতেন তাঁদের রোগী। কিন্তু এমনটা না করে প্রথমেই জানিয়ে দেন মারা গেছেন তিনি। কিন্তু বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা তা অস্বীকার করেন। তাঁদের বক্তব্য বৃদ্ধা হাসপাতালে আনার আগেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। প্রথমবার যখন আনা হয়েছিল তখন আমরা বৃদ্ধার শরীরে কোনরকম জীবিত থাকার লক্ষণ খুঁজে পাইনি। হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে থাকা ডাক্তার জানান, প্রথমবার যখন আনা হয়েছিল তখনও তিনি বেঁচে ছিলেন না, তা তিনি খুব স্পষ্টভাবে দেখেছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বিকালবেলায় বোলপুর সুপার স্পেশালিটিতে রোগীর পরিবার উত্তপ্ত হয়েওঠে। বেশ কিছুক্ষণ হাসপাতাল চত্বর উত্তপ্ত থাকার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।