মুর্শিদাবাদ – রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’দিনের জেলা সফরে সোমবার বহরমপুরে এসেছেন। আর এদিনই ই-অ্যাম্বুলেন্স সহ একগুচ্ছ পরিষেবা চালু করল মুর্শিদাবাদ পুরসভা। পরিষেবা চালু করার আগে পুরসভা থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আবার পুরসভায় এসে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়।শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলার, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও নাগরিকরা।
সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ই-অ্যাম্বুলেন্স সহ একগুচ্ছ নাগরিক পরিষেবা চালু হওয়ায় খুশির হাওয়া নবাবের শহরজুড়ে। মুর্শিদাবাদ পুরসভার চেয়ারম্যান ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, নাগরিকদের সুবিধার্থে এই পরিষেবাগুলি উদ্বোধন করা হয়েছে। আমরা নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্য দিতে কাজ করে চলেছি। তারই ফলাফল এই ব্যাটারি চালিত অ্যাম্বুলেন্স, স্বর্গরথ এবং বর্জ্য সংগ্রহকারী গাড়ি। এই গাড়িগুলি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ছোট হওয়ায় সহজেই গলির ভিতর ঢুকতে পারবে। জেলার মধ্যে মুর্শিদাবাদ পুরসভাই প্রথম ই-অ্যাম্বুলেন্স চালু করল। আশা করি, এই পরিষেবা নাগরিকদের কাছে খুব কার্যকরী হয়ে উঠবে। শহরের সঙ্কীর্ণ এলাকায় সহজেই এই অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারবে। ২৪ঘণ্টা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই পরিষেবা মিলবে। এতে মানুষ ভীষণভাবে উপকৃত হবেন।
পুরপ্রধান ইন্দ্রজিৎ ধর এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলেন ই-অ্যাম্বুলেন্স, ই-স্বর্গরথ পরিষেবা এবং ছ’টি আধুনিক বর্জ্য সংগ্রহকারী গাড়ি। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই পরিষেবাগুলি চালু হওয়ায় বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা আরও সহজ হবে। শহরের সরু রাস্তায় খুব সহজেই তা প্রবেশ করতে পারবে। স্থানীয় বাসিন্দা নিমাই কুণ্ডু বলেন, জনবসতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার রাস্তাগুলি খুব সরু হয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে এই গাড়িগুলি খুব সহজেই ঘোরাঘুরি করতে পারবে।পুরসভার এই অভিনব উদ্যোগে মানুষ ভীষণভাবে উপকৃত হবেন। অপর এক বাসিন্দা মিনারুল শেখ বলেন, ই-অ্যাম্বুলেন্স পুরসভার একটি অভিনব উদ্যোগ। শহরের সঙ্কীর্ণ এলাকায় সাধারণ অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারে না। প্রসূতি, মুমূর্ষু বা অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরিবারের লোকজনকে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। ই-অ্যাম্বুলেন্স বাড়ির দুয়ারে পৌঁছে যাবে। ফলে, রোগীকে সহজেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
