অন্তঃদ্বন্ধে জেরবার বিজেপির হাঁটে হাড়ি ভাঙলো কর্মীরা। বিজেপি জেলা সভাপতির ছবিতে লাল কালি দেগে শহর জুড়ে একনায়কতন্ত্র চালানোর অভিযোগ তুলে পড়লো পোস্টার। শুধু পোস্টার নয় দল ও জেলা নেতৃত্বদের তোষামোদের নোংরা রাজনীতিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে সোশ্যাল মাধ্যমেও ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়লো শয়ে শয়ে মন্তব্য। যাতে মহকুমা ভোটের আগেই ধরাশায়ী ভাজপা। শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা পদ্ম ঘরের বিধায়ক আনন্দময় বর্মন তার বিধানসভা কেন্দ্রের সাংগঠনিক দূর্বলতা ঢাকতেই দলের মহিলা মোর্চা, যুব মোর্চার সভাপতি সহ দলীয় একাধীক গুরুত্বপূর্ণ পদে তার ঘনিষ্ঠদের বসিয়েছেন।
দলীয় পদে নিয়ে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তোলে ভাজপা কর্মীরাই। সরাসরি পোস্টার লিখনে আক্রমন শানিয়ে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও নোংরা রাজনীতির অভিযোগ তুলে শহরে পোস্টার টাঙিয়ে দেন দলীয় কর্মীরা।শনিবার শিলিগুড়ি হাসমিচক, হিল কার্ট রোড সহ শহরের মুখ্য কেন্দ্র গুলিতে এ ধরনের পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে পড়ে। শহরে পড়া পোস্টারে জেলা সভাপতিকে বাতিল করে পোস্টারে থাকা তার ছবিতে লাল কালিতে কাঁটা চিহ্ন দেগে দেন জেলার বিজেপি নেতা কর্মীরাই।
দল ও জেলা সভাপতি পদের রেয়াদ না করেই শহরের মুখ্য সড়ক থেকে হাটে বাজারে পোস্টারের মাধ্যমে পদ্মের অন্দরের কলহকে প্রকাশ্যে উঠে আসে। ঘটনার সূত্রপাত হয় শুক্রবার রাতে। শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার বিজেপির যুব ও মহিলা মোর্চার সভাপতিদের নাম ঘোষনা করা হয়। দেখা যায় মহিলা থেকে যুব মোর্চার পদে আসীন হয়েছেন সকলেই বিধায়কের তথা জেলা সভাপতি আনন্দের বিধানসভা কেন্দ্র মাটিগাড়া এলাকার। শিলিগুড়ি মহকুমা এলাকায় ভোটের মুখে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়া গেরুয়া শিবির মিটিং মিছিলে কর্মীদের ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টাতেই দলের জেলা নেতৃত্ব দলীয় পদের ললিপপ দেখিয়ে তুষ্ট করেছে মত রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন – কেন এটিএম-এ 4-সংখ্যার পিন থাকে, এটিএম সম্পর্কে 6 তথ্য যা আপনাকে অবাক করে দেবে!
বিজেপী কর্মীরা অবশ্য জেলা যুব সভাপতি হিসেবে অরিজিৎ দাসের নাম ঘোষনা হতেই বিজেপি যুব মোর্চার সৌরভ সরকারকে সভাপতি করার দাবি জানিয়ে দূর্নীতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেঁটে পড়েন।তাদের অভিযোগ দুর্নীতি করে নিজ বিধানসভার দলীয় কর্মীদের মহিলা ও যুব সহ একাধিক দলীয় পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিজেপির যুবর সদস্য সৌরভ সরকার সম্প্রতি পুরনির্বাচনের আগেই একইভাবে দলীয় পদের টানাটানির খেলায় দল থেকে পদত্যাগ করে জেলা নেতৃত্ব আনন্দময় বর্মন শঙ্কর ঘোষের বিরুদ্ধে দলের নামে বানিজ্যিক মুনাফার প্রতিষ্ঠান চালানোর মত একাধিক বিষ্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন।
এবারে দলের অন্দরের ফাঁটল ষ্পষ্ট হয়ে ওঠে। দলীয় অন্তঃকল অগ্নি শিখার রূপ নেয়।রাত থেকেই সোশ্যাল মাধ্যমে দলীয় কর্মীদের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে দলীয় পদ নিয়ে দূর্নীতির অভিযোগ ঘিরে ঝড় বইতে লাগে। এরপর শনিবার সকাল হতেই তা দাবালনের রূপ নেয়। পাল্টা দলীয় যুব কর্মীদের তরফে সৌরভ সরকারের ছবি দিয়ে তাকে যুব মোর্চার সভাপতি করার দাবি জানিয়ে পোস্টার পড়ে। যদিও এ বিষয়ে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার বিধায়ক আনন্দময় বর্মন জানান এটা রাজনৈতিক মিথ্যে ছক। বিরোধী শিবির করাচ্ছে এসব। অন্যদিকে তৃনমূলের সাফ মন্তব্য শিলিগুড়ি মহকুমার চার ব্লকে তাদের অস্তিত্ব নেই। তাই এসব করে প্রচারে আসতে চাইছেন তারা।