জেলে যেতেই ফ্লেক্স থেকে অনুব্রতর ছবি উধাও তারাপীঠে

জেলে যেতেই ফ্লেক্স থেকে অনুব্রতর ছবি উধাও তারাপীঠে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

জেলে যেতেই কার্যত মুছে ফেলা শুরু হল অনুব্রত মণ্ডলকে। তারাপীঠে কৌষিকী অমাবস্যায় ফ্লেক্স থেকে হঠাৎই উধাও দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। তবে ডেপুটি স্পিকারের আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি জ্বলজ্বল করছে।

 

মুখ্যমন্ত্রী ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রামপুরহাটে এসে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করে যান। এরপরেই জোর কদমে শুরু তারাপীঠের উন্নয়ন। রামপুরহাট – তারাপীঠ রাস্তা কোথাও ডবল আবার কোথাও ফোর লেন তৈরি হয়েছে। বিষয়টি সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে কৌষিকী এবং দলের প্রচার করতে ২০১৮ সাল থেকে অমাবস্যার আগে রামপুরহাট-তারাপীঠ রাস্তার দু-ধারে মুখ্যমন্ত্রী থেকে দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ফ্লেক্সে ছেয়ে যেত। ২০১৯ সালেও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল জেলে যেতেই এবার ফ্লেক্স থেকে উধাও অনুব্রত।

আরও পড়ুন – নিজের মেয়ে নাতনির ওপরে এসিড ছুড়ে মারলো নিজেরই মা বাবা সঙ্গে বাদ গেল না নিজেদের নাতনও

শুক্রবার দুপুরে তারাপীঠে কৌষিকী অমাবস্যা। সেই জন্য তারাপীঠ যাওয়ার রাস্তার দু’ধারে ফ্লেক্স ঝোলাতে শুরু করেছে তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের। তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে ছেয়ে গিয়েছে রাস্তার দু’ধার। কিন্তু কোথাও অনুব্রত মণ্ডলের ছবি তো দুরের কথা নাম নিশান দেখা যায়নি।

 

বিরোধীদের অভিযোগ, ২০২০ সালের ৯ অক্টোবর রামপুরহাট কিষাণ মান্ডিতে আয়াস অঞ্চলের বুথ ভিত্তিক আলোচনার সময় মেজাজ হারিয়ে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘অপদার্থ’ বলেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তারই বদলা নিতে আশিসবাবু সুযোগ বুঝে অনুবত মণ্ডলকে মুছে ফেলতে চেয়েছেন। যদিও আশিসবাবু বলেন, “এই প্রশ্নের কোন উত্তর দেব না”।

 

তবে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “দলের অনেক নেতাই এখন আর গরু চোরের মুখ দেখতে চান না। তাছাড়া পুন্যার্থীরা গরু চোরের মুখের ছবি দেখ পুণ্য কাজে যেতে চান না। তাই অনুব্রত মণ্ডলের ছবি দিতে চাননি। তাছাড়া আশিসবাবুও অপমানের বদলা নিলেন”।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top