ঘরের ভিতরে দুই শিশু কন্যা সহ মায়ের জ্বলন্ত দেহ উদ্ধার। মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার অন্তর্গত গাঁতলা গ্রামের। রবিবার বেলা ৮ টা নাগাদ বাপের বাড়িতে মা এবং দুই শিশু কণ্যা সন্তান ঘরের মধ্যে আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। এদিন সকাল আটটা নাগাদ বাড়িতে ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখে পাড়া প্রতিবেশীরা কয়েকজন মিলে দরজা ভেঙে দেখেন তারা মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তারপর পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে মৃতদেহদের উদ্ধার করেময়না তদন্তে পাঠান।
এদিন বেলা ৮ টা নাগাদ ঘরের ভিতরে দুই শিশু কন্যা সহ মায়ের আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো হতচকিয়ে যায় গ্রামবাসি। গ্রামবাসিদের সুত্রে জানা গিয়েছে গাঁতলা গ্রামের দয়াল ঘোষের মেয়ে লক্ষ্মী ঘোষের ৫ বছর আগে বিয়ে হয়, নবগ্রাম থানার অন্তর্গত ঘোষপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বীরবল ঘোষের সঙ্গে। পারিবারিক বিবাদের কারনে গত দু বছর আগে শ্বশুর বাড়ির পরিবারের লোকেদেরর সঙ্গে মনোমালিন্য, বিবাদের জেরে লক্ষী ঘোষ দুই মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন ।
আর ও পড়ুন ত্রিপুরার ভোটের ফলাফল প্রসঙ্গে কি বললেন সৌগত রায়?
মাঝে মধ্যে শ্বশুর বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সেভাবে সমস্যা সমাধানে বা মিমাংসা না হওয়ার ফলে দুই মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তা মধ্যেই দিন কাটাতেন লক্ষ্মী । প্রতক্ষদর্শী বৃন্দাবন সাহা জানান এদিন সকাল আটটা নাগাদ বাড়িতে কেউ ছিল না, সেই সময় বাড়িতে ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখে পাড়া প্রতিবেশীর চিৎকার শুনে আমরা কয়েকজন মিলে এসে দেখি দরজা লাগানো, দরজা ভেঙে দেখি লক্ষ্মী ঘোষ (২২) দুই মেয়ে সহ আগুনে পুড়ে মরে পড়ে আছে। বড়ো মেয়ে চাঁদনি ঘোষ (৫), ছোট্ট মেয়ে ইতু ঘোষ (৩) এর মর্মান্তিক ভাবর মৃত্যু হয়।
মা ও দুই কন্যা সন্তানের আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনায় এলাকা জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া । ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কান্দী থানার পুলিশ। মা ও দুই মেয়ের মৃত্যু দেহ উদ্ধার করে, ময়না তদন্তের জন্য বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় । কী কারণে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল মা ও দুই মেয়ের তা জানতে তদন্ত সুরু করেছে কান্দি থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, ঘরের ভিতরে দুই শিশু কন্যা সহ মায়ের জ্বলন্ত দেহ উদ্ধার। মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার অন্তর্গত গাঁতলা গ্রামের। রবিবার বেলা ৮ টা নাগাদ বাপের বাড়িতে মা এবং দুই শিশু কণ্যা সন্তান ঘরের মধ্যে আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। এদিন সকাল আটটা নাগাদ বাড়িতে ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখে পাড়া প্রতিবেশীরা কয়েকজন মিলে দরজা ভেঙে দেখেন তারা মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তারপর পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে মৃতদেহদের উদ্ধার করেময়না তদন্তে পাঠান।