স্ত্রীর গলায় কুকুরের বেল্ট জড়িয়ে কিভাবে খুন তা পুলিশকে দেখালেন স্বামী । গত রবিবার রাত তখন ১১ টা। দুর্গাপুরের মামড়া বাজারের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখার সহকারী ম্যানেজার উড়িষ্যার বাসিন্দা বিপ্লব পারিদা বামুনড়াতে ভাড়ায় থাকা ফ্ল্যাটে নিজের হাতে স্রী ইপ্সা প্রিয়দর্শনির গলায় কুকুরের বেল্ট জড়িয়ে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করে কাঁকসা থানায় এসে আত্মসমর্পন করেন। কেন নিজের স্ত্রীকে খুন করতে বাধ্য হলেন উচ্চশিক্ষিত সেই ব্যাঙ্ক আধিকারিক?
সাংবাদিকদের সামনে এর উত্তর দিতে গিয়ে বিপ্লব পারিদা জানায় ২০১৮ তে তার সাথে উড়িষ্যার বাসিন্দা ইপ্সার বিয়ে হয়।তারপর থেকে ইপ্সা তাকে বিদেশ ঘোরার,ফ্যাশন ডিজাইনিং করার জন্য চাপ দিত এবং নিত্য অশান্তি করত।তা সহ্য করতে না পেরেই তিনি স্ত্রীকে খুন করে।
অন্যদিকে ইপ্সার পরিবারের অভিযোগ যে বিপ্লবকে বিবাহের সময় বহু কিছু দেওয়ার পরেও সে উড়িষ্যাতে ফ্ল্যাট কেনার জন্য ৩০ লক্ষ টাকা আমাদের থেকে নেওয়ার জন্য ইপ্সাকে চাপ দিত।তা দিতে পারিনি বলেই ইপ্সাকে এভাবে খুন হতে হল।
আরও পড়ুন ভেনিসের মাটিতে এবার রীতিমতো ঝড় তুললেন শ্রীলেখা, কী করলেন সেখানে ?
সোমবার ্বিপ্লবকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বৃহস্পতিবার দুপুরে কাঁকসা থানার পুলিশ বামুনাড়াতে সেই আবাসনে বিপ্লব পারিদাকে নিয়ে আসে রবিবার রাতের সেই ঘটনার পূনঃ নির্মাণ করার জন্য। বিপ্লব পরিদা ফ্লাটে গিয়ে পুলিশকে জানায় রবিবার রাত ১১ টায় বাড়ি ফিরে বাইরের দরজা খুলে বেডরুমে গিয়ে দেখে ইপ্সা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
মেঝেতে পড়ে থাকা কুকুরের গলার বেল্ট ইপ্সার গলায় পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করি। ইপ্সার খুব প্রিয় টেডি বিয়ার পুতুল মেঝেতে রেখেই কি ভাবে তার স্ত্রী ইপ্সা প্রিয়দর্শিনি কে খুন করে তা দেখায় বিপ্লব । তবে বিপ্লবের বারবার মাথা ঘুরে যাচ্ছিল।যা দেখে তাকে অসুস্থ বলে মনে হচ্ছিল।
ফ্লাটের দুএকজন ছিল সেই সময় । কিন্তু সেদিন কেন ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা ইপ্সাকে খুন করল?ঝগড়া তো হয়নি যাতে উত্তেজিত বিপ্লব রাগে খুন করেছে।সেদিন তো ঝগড়া হওয়ার কথা বিল্পব পারিদা বলেনি।তাহলে হটাৎ সেইদিন কেন এই খুন?খুনের পরে পোষ্য স্পেনিয়াল কুকুরের গলায় বেল্ট পরিয়ে বাইক নিয়ে বিপ্লব পারিদা যায় কাঁকসা থানায়।
উল্লেখ্য, সোমবার বিপ্লব দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বৃহস্পতিবার দুপুরে কাঁকসা থানার পুলিশ বামুনাড়াতে সেই আবাসনে বিপ্লব পারিদাকে নিয়ে আসে রবিবার রাতের সেই ঘটনার পূনঃ নির্মাণ করার জন্য।
বিপ্লব পরিদা ফ্লাটে গিয়ে পুলিশকে জানায় রবিবার রাত ১১ টায় বাড়ি ফিরে বাইরের দরজা খুলে বেডরুমে গিয়ে দেখে ইপ্সা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। মেঝেতে পড়ে থাকা কুকুরের গলার বেল্ট ইপ্সার গলায় পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করি। ইপ্সার খুব প্রিয় টেডি বিয়ার পুতুল মেঝেতে রেখেই কি ভাবে তার স্ত্রী ইপ্সা প্রিয়দর্শিনি কে খুন করে তা দেখায় বিপ্লব । তবে বিপ্লবের বারবার মাথা ঘুরে যাচ্ছিল।যা দেখে তাকে অসুস্থ বলে মনে হচ্ছিল।