জয়েন্ট এন্ট্রান্সে প্রথম হাওড়ার হিমাংশু শেখর। ফলাফলে চমক দিল কোচবিহার। মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিকের ধারা বজায় রেখে এবার জয়েন্ট এন্ট্রান্সেও তাক লাগানো ফল করল একাধিক জেলার ছাত্র ছাত্রীরা। চমক দিল হাওড়া। মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকাড়া বল করেছিল উত্তরের জেলা কোচবিহার। জয়েন্টের ফলেও সেখান থেকে উঠে এসেছে একাধিক কৃতীর নাম। দুপুরে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ডের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হয়। বিকেল চারটে থেকে অনলাইনে রেজাল্ট দেখা যাচ্ছে। এবার পাশের হার ৯৮.৫ শতাংশ। সার্বিকভাবে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পড়ুয়ারা ভালো ফলাফল করলেও প্রথম দশে মাত্র দু’জন আছেন। অগাস্টের তৃতীয় সপ্তাহে শুরু হবে কাউন্সেলিং।
এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি ছিল। প্রায় ৮১ হাজার পড়ুয়া পরীক্ষা দিয়েছিলেন। জয়েন্ট বোর্ডের দাবি, ‘আইসিএসই, সিবিএসই পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে দেরিতে ফল প্রকাশ করা হল’। পরীক্ষার ৪৮ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ হল রাজ্য জয়েন্টের। রাজ্য থেকে ৬৯,৪১৩ জন, রাজ্যের বাইরের ছিলেন ৩২ হাজার পরীক্ষার্থী।
আরও পড়ুন – নতুন রূপে সেজে উঠবে বকখালি. আগামী দিনে বকখালি পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা
এবারে ৮১,৩৯৩ জন পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৬২,৯১৩ জন রাজ্যের পড়ুয়া ছিলেন। জয়েন্টে ৯৮.৫ শতাংশ পাশ করেছেন। ছাত্রদের সংখ্যা ৫৮,৭২৩ জন, ছাত্রীদের সংখ্যা ২১,৫০৯ জন। রাজ্যের বোর্ড থেকে সর্বাধিক র্যাঙ্ক পেয়েছেন ৪১৮৩৯ জন অর্থাৎ ৫২.২ শতাংশ।
হাওড়ার হিমাংশু শেখর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম। হিমাংশু কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে আইআইটি’তে বি-টেক পড়তে চায়। নিজেকে ভবিষ্যতে সে শিল্পোদ্যোগী হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। অন্যদিকে, নবান্ন’র স্বরাষ্ট্র দফতরের ডব্লুবিসিএস আধিকারিকের পুত্র হাওড়ার অয়ন অধিকারী জয়েন্টে রাজ্যের নবম স্থানে। সে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়।
হাওড়ার বালির অর্চিষ্মান মান্না মাধ্যমিকে সপ্তম স্থান অধিকারের পর এবছরের পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বালির বাসিন্দা হিমাংশু শেখর প্রথম স্থান অর্জন করায় স্বভাবতই খুশির ছোঁয়া। হিমাংশুর সাফল্যে আনন্দের বাঁধ ভেঙেছে তাদের বালি দেওয়ানগাজি রোডের ফ্ল্যাটে। অন্যদিকে, জয়েন্টে পঞ্চম স্থান পেলেন কোচবিহারের জেনকিন্স স্কুলের ছাত্র কৌস্তভ চৌধুরী। কোচবিহার শহরের বাসিন্দা তিনি৷ এবারই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন৷ ৪৮২ নম্বর পেয়েছিলেন৷ বাবা জয় চৌধুরী সেচ দপ্তরের কর্মী। মা অনিন্দিতা চৌধুরী৷ তিনি জানান আগামী দিনে ফিজিক্স ও ম্যাথ বিষয়ে গবেষনা করতে ইচ্ছুক তিনি।