ঝাড়গ্রাম – শ্রেণিকক্ষে দুষ্টুমি করায় শিক্ষকের বকুনি ও চড় খাওয়ার প্রতিশোধ নিতে পিস্তল নিয়ে স্কুলে হাজির হয় এক দশম শ্রেণির ছাত্র। সোমবার দুপুরে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকের চোরচিতা চৌরেশ্বর হাইস্কুলে এই ঘটনাটি ঘটে। সহপাঠীরা সময়মতো তার হাত থেকে পিস্তল কেড়ে নেওয়ায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। পরে বেলিয়াবেড়া থানার পুলিশ এসে ছাত্রটিকে আটক করে।
অভিযুক্ত ছাত্রের নাম নীলাঞ্জন দলুই। জানা গেছে, সোমবার ইতিহাসের শিক্ষক পরিমল অট্ট ক্লাস নিচ্ছিলেন। সেই সময় লাস্ট বেঞ্চে বসে নীলাঞ্জন বন্ধুদের সঙ্গে দুষ্টুমি করছিল। শিক্ষক তাকে বকাঝকা করার পর গালে একটি চড় মারেন। ক্ষুব্ধ নীলাঞ্জন প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্যে টিফিনের সময় পিস্তল নিয়ে প্রধান শিক্ষকের ঘরের জানলার কাছে আসে। তখন সেখানে শিক্ষক পরিমল অট্ট ও আরও একজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষকরা দেখেন, নীলাঞ্জনের সহপাঠীরা তার হাত থেকে পিস্তল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এরপর স্কুলের বাইরে থাকা সিভিক ভলান্টিয়াররা ছুটে এসে অস্ত্র উদ্ধার করেন। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করে।
শিক্ষক পরিমল অট্ট বলেন, “ছেলেটি ক্লাসে বারবার বেয়াদপি করছিল। আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিতেই আমি ওর গালে চড় মারি। সেই রাগেই সে পিস্তল নিয়ে এসে আমাকে গুলি করতে চেয়েছিল।” ঘটনায় হতবাক হয়ে গিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক ও কর্মীরা। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
