শেষ প্রচারে শিলিগুড়িতে ঝড় তুললো তৃনমূল

শেষ প্রচারে শিলিগুড়িতে ঝড় তুললো তৃনমূল

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
নতুন

শেষ প্রচারে শিলিগুড়িতে ঝড় তুললো তৃনমূল। শহরের হাওয়ায় ভাসছে তৃণমূলের নিশ্চিত জয়ের গন্ধ। ভোটের আগেই ময়দান ছাড়লো বিজেপি। প্রচারের শেষ দিনে শহরের রাস্তায় দেখা মিললো না গেরুয়া বাহিনী। হাত ধরাধরী করে নিয়মরক্ষায় বাম কংগ্রেস গোনা কয়েক সমর্থক নিয়ে সারলো শেষ লগ্নের প্রচার। বৃহস্পতিবার প্রচারের শেষ লগ্নে দাঁড়িয়েই পুরো নির্বাচনের ফলাফল অনেকটাই জলের মতো সাফ হয়ে উঠলো শিলিগুড়িবাসির কাছে।

 

একমাস ব্যাপী টানা প্রচার চালিয়ে গিয়েছে বাড়ি বাড়ি তৃনমূল। শেষ তিনদিন টানা প্রচার সারেন তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী সহ রাজগঞ্জ, ইটাহারের বিধায়ক ও কলকাতার দুই কাউন্সিলর। চলেছে রোড শো থেকে বাড়ি বাড়ি প্রচার। বৃহস্পতিবার শেষ দিনে নিজ নির্বাচনী ক্ষেত্রে প্রচারের ঝড় তুললেন পুরো নিগমের ৪৭টি ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীরা। এদিন শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১৮নাম্বার ওয়ার্ডে বর্ণাঢ্য মিছিল তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে রাস্তায় নামে। গোটা ওয়ার্ড জুড়ে নাগরিকরা তৃণমূলের সমর্থনে দিন ধামসা মাদল, ঢাক বাজিয়ে প্রচারে সামিল হন।

 

প্রতিটি অলি গলি থেকে স্বতঃস্ফূর্ততার সঙ্গে তৃনমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেন এলাকার বাসিন্দারা। যার কৃতিত্ব গিয়ে পড়ছে প্রাক্তন তৃনমূল কাউন্সিলর নিখিল সাহানির ওপরই। কারন বিগত পাঁচ বছরে মানুষের পাশে থাকা কারণেই নিরিখেই তৃণমূল প্রার্থীকে জয়যুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে এলাকার বাসিন্দারা। ৩২ নাম্বার ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী প্রাক্তন কাউন্সিলার তাপস চ্যাটার্জির হয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় সামিল হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। ২৪নাম্বার জিপি বিধায়কের ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত মাস্টারমশাই এক সময়ের কাউন্সিলর প্রত্যুল চক্রবর্তীর হয়ে জোড় প্রচার চলে।

 

ভোটের শেষবাজারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গুছিয়ে নিয়েছেন তিনি। প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব তার ওয়ার্ডে স্ট্রিট কর্নার করেন। সেখানে বরং বিজেপি বিধায়ক খোদ নিজ ওয়ার্ডে কিছুটা চাপের মধ্যে রয়েছেন। শিলিগুড়ি অপর হেভিওয়েট প্রার্থী রঞ্জন সরকার অবশ্য নিজ নির্বাচনী ক্ষেত্র ১৫নাম্বার ওয়ার্ড একাই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচারের শেষ ইনিংসে এদিন এলাকায় অলি গলি মোড়ের মাথায় স্ট্রিট কর্নার করেন তিনি। তাকে ঘিরে এলাকাবাসীর ব্যাপক সমর্থন নজরে কাড়ছে।

 

আর ও পড়ুন      ৪৫ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় এবারে থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ

 

সম্প্রতি ওয়ার্ডের অসহায় বৃদ্ধা শ্রীপর্ণা দেবী হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রচার মাঝ পথে ফেলেই তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তড়িঘড়ি রঞ্জন বাবু। এম্বুলেন্স ডেকে নিজ হাতে স্ট্রেচারে তুলে অসহায় প্রবীণাকে শিলিগুড়ি একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান তিনি। তার জটিল রোগ ছিল দীর্ঘদিন যাবৎ। তবে পরিবারের কেউ না থাকায় একাকী অসহায় বৃদ্ধার সেভাবে চিকিৎসা হয়নি রঞ্জনবাবু যাবতীয় চিকিৎসা ভার বহন করেন। বৃহস্পতিবার তিনি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরতেই এলাকাবাসীরা রঞ্জনবাবুকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পাশাপাশি ওয়ার্ডের পাড়ার মোড়ে মোড়ে তার দায়বদ্ধতার দৃষ্টান্তের উচ্চ প্রশংসা করে করতালি দিয়ে তাকে সংবর্ধিত করেন।

 

পাঁচ বছর অভিভাবকহীন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হিসেবে রঞ্জনবাবুকেই চাইছেন তা সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন এলাকাবাসীরা। রঞ্জন বাবু বলেন পুরোনো রীতি ধরেই শেষদিনে পথ সভার মধ্য দিয়ে প্রচার,মানুষের ব্যাপক সাড়া মিলছে। ১২নাম্বার ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচার করছি। সেখানে তার বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। মানুষ বেঈমানক ভোট দেবে না। এবারে তৃনমূল বোর্ড গড়বে তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে নির্বাচনী ক্ষেত্র লাগোয়া ২১নাম্বার ওয়ার্ডের প্রার্থী দার্জিলিং জেলা যুব সভাপতির কুন্তল রায়ের হয়ে ভোটের আবেদন জানান তিনি।

 

অন্যদিকে বাম বর্ষিয়ান নেতা প্রাক্তন মেয়র-কাউন্সিলর অশোক ভট্টাচার্য্যের ওয়ার্ডে জোড়াফুলের পালে খানিক বাড়তি হাওয়া সঞ্চার করেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। অশোক বাবুর ওয়ার্ডে দলীয় প্রচার চালান তিনি। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভানেত্রী বলেন ছয় নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূলের জয় নিশ্চিত। সেখানে প্রচার এগিয়ে আছে দেখে এলাম তৃনমূলের সেখানে কোনো প্রতিপক্ষ নেই। অন্যদিকে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী নিজ নির্বাচনী ক্ষেত্র সামলে শহরের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত প্রচারে ঝড় তোলেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top