টর্নেডোয় লন্ডভন্ড চন্দননগরের নারুয়া শান্তিরমাঠ এলাকা

টর্নেডোয় লন্ডভন্ড চন্দননগরের নারুয়া শান্তিরমাঠ এলাকা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram



হুগলি – ক্ষণিকের টর্নেডোয় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল চন্দননগরের নারুয়া শান্তিরমাঠ। কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে ভেঙে যায় পুজো মণ্ডপ থেকে শুরু করে বাড়ির চাল ও বড় বড় গাছের ডাল। শুক্রবার ভোরে হঠাৎ দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির সঙ্গে এই টর্নেডো বয়ে যায়, মুহূর্তের মধ্যেই এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোরের দিকে হঠাৎ আকাশ কালো করে আসে, তার পরেই দমকা ঝোড়ো হাওয়ায় উড়ে যায় বাড়ির টিনের চাল, ভেঙে পড়ে ইটের দেওয়াল, মণ্ডপে লাগানো ঝাড় ও কাঠামো। আমগাছের ডাল ভেঙে পড়ে বাড়ির উপরে।

বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও সৌভাগ্যবশত কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। প্রতিমা বিসর্জন হয়ে গিয়েছিল আগেই, কেবল মণ্ডপ দাঁড়িয়ে ছিল—সেটাই ভেঙে পড়েছে ঝড়ের দাপটে। স্থানীয়রা জানান, “কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঝড় এসে সব তছনছ করে দিল। ভাগ্যিস পুজো শেষের দিকে ছিল, নইলে প্যান্ডেলে ভিড় থাকলে বিপদ বাড়ত।”

এদিকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে এখনও নিম্নচাপের প্রভাব বজায় রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্য জেলাগুলিতে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা পর দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে। তবে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি হয়েছে।

অতএব উৎসবের মরশুমের মাঝেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ছায়া নেমে এসেছে বাংলায়, যা নতুন করে আতঙ্ক বাড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top