বিনোদন – প্রায় ৯ মাস আগে টলিউডে যৌন হেনস্থার একের পর এক অভিযোগ সামনে আসতেই, দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ‘হেমা কমিটি’র আদলে বাংলাতেও একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী।
জানা যায়, সেই কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। পরিকল্পনা ছিল কমিটিতে আইনজীবী, চিকিৎসক ও সমাজকর্মীদের রাখার—যাতে অভিযোগকারীরা সঠিক সহায়তা ও বিচার পান। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন ঋতাভরী।
২০২৪ সালের শেষের দিকে টলিউডের অন্দরে একাধিক নারী নিগ্রহের অভিযোগ সামনে আসে। পরিচালক অরিন্দম শীল-সহ বহু প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
নিজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ্যে আনতে পিছপা হননি ঋতাভরীও। তিনি জানিয়েছিলেন, এই ইন্ডাস্ট্রিতেই তাঁকেও যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। শুধু তিনি নন, আরও অনেকেই সামনে এসে প্রতিবাদ জানান এবং সমব্যথী হন।
তবে এরপরেও সেই কমিটির বাস্তবায়ন কতদূর এগিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। এখন দেখার, টলিউডে নিরাপদ কর্মপরিবেশ গড়ে তোলার জন্য এই উদ্যোগ আদৌ কতটা কার্যকর হয়।
