টাইম ট্রাভেলের খেলা দেখাবে ধূপগুড়ির বৈরাতিগুড়ির শ্যামা পূজা। ধূপগুড়ি শহরের অতীত নিয়ে অভিনব এক থিম আবিষ্কার করেছে বৈরাতিগুড়ির সর্বজনীন শ্যামাপূজা উৎসব কমিটি। নবীন প্রজন্মকে প্রবীণের চোখে দেখার অসাধারণ একটি প্রয়াস করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সময়ের যাঁতাকলে সবকিছুই পরিবর্তন হয়। ধুপগুড়ি শহর দিনে দিনে পরিবর্তন হয়েছে অনেকটা। আধুনিকতার ছোঁয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে রাস্তা, কাটা পড়েছে শতাধিক প্রাচীন বটগাছ, বট গাছের তলায় হনুমান মন্দির অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়েছে অজস্র দোকান পাটের রূপ। সময়ের ফেরে মুছে গেছে অনেক ফ্যাক্টরি, রূপ বদলেছে বিভিন্ন অফিস। আর সেই পুরনো দিনের স্মৃতি আকড়ে নবীন প্রজন্মকে পুরনো ধূপগুড়ির এক খন্ড চিত্র জলজ্যান্ত করে ফুটিয়ে তুলেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এবছর তাদের থিমের নাম ‘ফিরে দেখা ধুপগুড়ি’। থিম নির্দেশনায় রয়েছে ক্লাবের সদস্য অমিত সরকার, বাবলু রায় ও মনোজ ঘোষ। ধূপগুড়ি চৌপথি মোরে শত প্রাচীন গাছ কেটে ফেলা হয়েছিল,পুজো মন্ডপে প্রবেশ করার পথেই দেখা মিলবে সেই সু প্রাচীন বটগাছ।
পুরনো আমলের একটি বাস পৌঁছে দেবে পূজা মন্ডপে। প্রবেশের পরেই দেখা মিলবে ধুপগুড়ির চারু সিনেমা হল। বর্তমানে ধুপগুড়ির এই হল বন্ধ রয়েছে। রয়েছে কমল রঞ্জন করের দোকান, রয়েছে সেই আদিকালের ব্যানার্জি সোপ ফ্যাক্টরি। ধূপগুড়ি থানার পুরনো দিনের সেই কাঠের ঘর জলজ্যান্ত রূপে শিল্পীরা তুলে ধরেছেন। তাছাড়া রয়েছে , এসটিএস ক্লাব, ডাকবাংলো, মায়ের থান, নবজীবন সংঘের পুরনো কাঠামো। তাছাড়াও রয়েছে সুপারমার্কেটের খন্ড চিত্র। অভিনব কায়দায় সমস্ত পুজো প্রাঙ্গণ পুরনো ধুপগুড়িকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন – টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় ভারতের, আনন্দে মাতোয়ারা শহরবাসী
সমস্ত টাকচারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মাটির মডেল তৈরি করেছে উত্তরবঙ্গের খ্যাতনামা মৃৎশিল্পী কণ্ঠস্বর বর্মন। পুজো প্রাঙ্গনে প্রবেশ করলে ধুপগুড়ি জীবন্ত এক চিত্রের ছবি ধরা পড়ে।বৈরাতিগুড়ি সর্বজনীন শ্যামা পূজা কমিটির এক সদস্য বলেন, এবছর আমাদের পুজো ৬৮ বছরে পড়ল। প্রতিবছরই আমরা নিত্যনতুন থিম ভাবনা নিয়ে কাজ করি। এবছর আমাদের থিম ধুপগুড়ি কেন্দ্রিক। ফিরে দেখা ধুপগুড়ি, প্রবীণের চোখে এবার নবীনরা চিনবে ধুপগুড়িকে। আশা করি সকল দর্শনার্থীদের মন কেড়ে নেবে আমাদের শ্যামা পূজাই।