টাকার বিনিময়ে বিহার ঝাড়খন্ড থেকে পার পেলেও বাংলার পুলিশের কাছে পার পেলোনা গরু পাচারকারীরা

টাকার বিনিময়ে বিহার ঝাড়খন্ড থেকে পার পেলেও বাংলার পুলিশের কাছে পার পেলোনা গরু পাচারকারীরা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

টাকার বিনিময়ে বিহার ঝাড়খন্ড থেকে পার পেলেও বাংলার পুলিশের কাছে পার পেলোনা গরু পাচারকারীরা । ফের বড় সাফল্য পেল বীরভূমের রামপুরহাট থানার পুলিশ। সাতটি ট্রাক থেকে প্রায় ১৩৮টি গরু উদ্ধার করল। আটক করা হয়েছে পাচারের কাজে ব্যবহৃত সাতটি ট্রাক, একজন ট্রাক চালককে গ্রেফতার করে রামপুরহাট থানার পুলিশ যদিও বাকি ট্রাক চালকেরা পালাতে সক্ষ্ম হয়।

 

রামপুরহাট থানার পুলিশ সূত্রে খবর, এই সাতটি ট্রাকে করে ঝারখান্ড থেকে গরু গুলো রামপুরহাট হয়ে মুর্শিদাবাদে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল। টহলরত ভ্যান রাত্রিবেলায় নাকা চেকিংয়ের সময় রামপুরহাট বর্ডারের কাছে গাড়িগুলো তল্লাশি করতেই বেড়িয়ে আসা আসল সত্য। ট্রাকের পেছনের অংশটা পুরো ত্রিপল দিয়ে এমনভাবে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল যাতে বাইরে থেকে বুঝতে না পারা যায় ভেতরে গরু বা মোষ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

 

তল্লাশির সময় গাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় খালাসী ও চালক। কিন্তু একজন ট্রাক চালককে পুলিশ হাতেনাতে ধরে ফেলে রামপুরহাট থানায় নিয়ে আসে, ধৃত চালক ধীরাজ কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে ঝাড়খন্ডে পুলিশকে টাকা দিয়ে গরু গুলো মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। রামপুরহাট থানার পুলিশ আরো জানাচ্ছে চলতি মাসে ছয় দফা অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪০টি গরু উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

আরও পড়ুন – স্কুল ড্রেস পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল বিদ্যালয় প্রাক্তনী যৌথ মঞ্চের

বাংলার দুটি পাশের রাজ্য ঝাড়খন্ড বিহার থেকে গরু গুলো পাচার করা হচ্ছিলো। দিন কয়েক আগে প্রায় আটটি ট্রাকে করে ১৫০টি মোষ পাচার করা হচ্ছিল, সেসময় সিউড়ি থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আচমকা অভিযান চালিয়ে রুখে দেয় মোষ পাচার। সেখানে প্রত্যেকটি ট্রাকটি আটক করা হয়েছিল পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ট্রাক চালকদের। সে সময় সিউড়ি থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া একজন ট্রাক চালক গুড্ডু যাদব জানিয়েছিলেন, তারা বিহারের মোজাফফরপুর থেকে
ঝারখন্ড হয়ে বীরভূমকে করিডোর করে মোষ গুলো নিয়ে যাচ্ছিল।

 

টাকার বিনিময়ে বিহার বা ঝাড়খন্ড পার হতে কোন সমস্যা না হলেও বাংলার পুলিশ টাকা দিয়ে পার হতে গিয়ে আটক হয় তারা। ট্রাক চালকদের মতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা জির পুলিশ খুব কড়া। এমনই অভিজ্ঞতা বিহারের ট্রাক চালকদের। ঘটনা প্রসঙ্গে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, বীরভূমের ঝাড়খন্ড সীমান্তবর্তী থানা গুলোকে কড়া নির্দেশ দেওয়া আছে বাংলায় কোনো গাড়ি তল্লাশি ছাড়া প্রবেশ করবে না। রাতে নাকা চেকিং বাড়ানো হয়েছে। যার জেরে কয়লা গরু পাচারের মতো অপরাধ রোখা সম্ভব হচ্ছে। ফের বড় সাফল্য

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top