সরকারি নির্দেশিকাকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে চুটিয়ে টিউশন, পদক্ষেপ নিচ্ছে শিক্ষা দপ্তর । কার্যত সরকারি নির্দেশিকাকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে চুটিয়ে টিউশন করছেন কতিপয় সরকারি ও স্পনসর্ড স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারা। এমন অভিযোগ উঠছিল বহু বছর ধরেই। বারংবার এই অভিযোগে শিক্ষা দপ্তরের কাছে ডেপুটেশন জমা দিয়েছে গৃহশিক্ষকদের রাজ্য সংগঠন। তারই প্রেক্ষিতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে শিক্ষা দপ্তর। টিউশনির অভিযোগে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক দের নামের তালিকা প্রকাশ করে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
রাজ্য জুড়ে সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনো সরকারি স্কুল শিক্ষক টিউশনির সাথে যুক্ত থাকতে পারেন না। শিশুর শিক্ষার অধিকার আইনের কথা স্মরণ করিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে নামের অলিকা। এব্যাপারে মালদা জেলার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এক গৃহ শিক্ষক শ্যাম সুন্দর মন্ডল বলেন, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী টিউশনির সাথে কোনো শিক্ষক যুক্ত থাকতে পারেন না।
আরও পড়ুন – নিজের মেয়ে নাতনির ওপরে এসিড ছুড়ে মারলো নিজেরই মা বাবা সঙ্গে বাদ গেল না নিজেদের নাতনও
কিন্তু সেই নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেশ কিছু শিক্ষক চুটিয়ে টিউশন করছেন। এটা আইন বিরুদ্ধ। তাই সরকারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করব। উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রসূন কুমার দত্ত বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষা দপ্তর একটা নির্দেশিকা জারি করেছেন। আমরা চাইব, শিক্ষক শিক্ষিকারা যেন স্কুলের পঠনপাঠনের সময় টুকুতে সম্পূর্ণ সময় দেন, তাহলে আর পড়ুয়াদেরকে স্কুল টাইমের বাইরে সাইকেল নিয়ে এই শিক্ষক, ওই শিক্ষকের বাড়ি ছুটতে হবে না।
এদিকে, এদিন এই নির্দেশিকা প্রকাশিত হতেই স্কুল শিক্ষকদের অনেককে সংবাদ মাধ্যমের অফিসে নিজেদের নাম আছে কি না, খোঁজ নিতে দেখা যায়। অনেকের নামের ভূল বানান এবং অসম্পূর্ণ নামের তালিকা প্রকাশ্যে আসায় জটিলতা আরও বেড়েছে।