ভাইরাল -চারিদিকে সাদা বরফে মোড়া উপত্যকা। সেই হিমশীতল প্রান্তরে এক অসহায় প্রাণীর ছটফটানি ধরা পড়ল ক্যামেরায়। মুখ আটকে আছে একটি লোহার টিনে, দেখতে পাচ্ছে না সামনে কিছুই — এমন অবস্থায় ছটফট করছে এক হিমালয়ান ব্রাউন বিয়ার। দৃশ্যটি সিয়াচেনের, যেখানে টহলরত ভারতীয় সেনারা প্রাণীর এই বিপদে এগিয়ে আসেন ত্রাতার ভূমিকায়। তাঁদের উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায় বিপন্ন ভালুকটি।
ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে এনেছেন ভারতীয় বনবিভাগের আধিকারিক প্রবীণ কাসওয়ান, তাঁর এক্স হ্যান্ডল থেকে। ফুটেজে দেখা যায়, মাথায় টিন আটকে ভালুকটি তুষারের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে। তখনই ঘটনাস্থলে থাকা সেনারা দড়ি দিয়ে প্রাণীটিকে বেঁধে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান। পরম যত্নে টিন কেটে ভালুকটির মুখ মুক্ত করেন এবং খাবারও দেন তাঁরা। কিছুক্ষণ পর ভালুকটিকে ছেড়ে দেওয়া হয় প্রকৃতির কোলে।
প্রবীণ কাসওয়ান পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন, “কী দুর্দান্ত উদ্যোগ! সিয়াচেনে একটি হিমালয়ান ব্রাউন বিয়ারের জীবন বাঁচিয়েছেন ভারতীয় সেনারা।” ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ দেখেছেন ভিডিয়োটি এবং প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সেনাদের মানবিকতার জন্য।
তবে ভিডিও ঘিরে সমালোচনাও উঠেছে। অবসরপ্রাপ্ত আইএফএস আধিকারিক সুশান্ত নন্দ মন্তব্য করেছেন, “টিনের ক্যান আসলে আবর্জনা, এটা কোনোভাবেই সুন্দর নয়। সিয়াচেনও এখন আবর্জনায় ভরে উঠছে।” তাঁর এই মন্তব্যে অনেকে একমত হয়ে বলেছেন, এই ধরনের বর্জ্যই প্রাণীদের বিপদের কারণ।
হিমালয় ও কারাকোরাম পর্বতমালার উঁচু, ঠান্ডা অঞ্চলে বসবাস করে এই প্রজাতির বাদামি ভালুক। সাধারণত হিংস্র ও শিকারি প্রকৃতির হলেও, বিপন্ন মুহূর্তে এই প্রাণীর প্রতি সেনাদের সহানুভূতিশীল উদ্যোগ মানবতার এক বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।



















