টুইটারে একটি লম্বা আবেগতাড়িত পোস্ট করেন ভারতের বিদায়ী টেস্ট অধিনায়ক। বিরাট কোহলি লেখেন, ‘সাত বছর ধরে পরিশ্রম করেছি দলকে সঠিক দিশায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। অত্যন্ত সততার সঙ্গে নিজের কাজটুকু করেছি। তবে সবকিছুরই শেষ আছে। ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে আমার সময়ও শেষ হয়ে গিয়েছে। এই দীর্ঘ যাত্রায় অনেক চড়াই-উতরাই এসেছে।
তবে নিজেদের প্রতি বিশ্বাস কখনও হারাইনি। আমি যাই করেছি তাতে ১২০ শতাংশ দিয়েছি। সেটা আর করে যেতে না পারলে আমার সরে যাওয়া উচিত। আমি দলের প্রতি অসৎ হতে পারব না। এতগুলো বছর ধরে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিসিসিআইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার সতীর্থদের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ। আমার দর্শন এগিয়ে নিয়ে যেতে তোমরা সাহায্য করেছো। তোমরা আমার যাত্রা আরও সুখের এবং সুন্দর করেছো।
আর ও পড়ুন রাজ্যে করোনা বিধি নিষেধ জারি থাকবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত
রবি ভাই এবং সাপোর্ট স্টাফকেও আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। তোমাদের জন্যই আমরা টেস্ট ক্রিকেটের শিখরে পৌঁছতে পেরেছিলাম। সর্বশেষে এমএস ধোনিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য এবং ভারতীয় ক্রিকেটের দায়িত্ব আমার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।’
বিরাটের এই সিদ্ধান্তে ভারতীয় ক্রিকেটে শেষ ‘নেতা কোহলি’-র যুগ। আগেই টি-২০ ক্রিকেট থেকে নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে একদিনের ক্রিকেট থেকে তাঁর অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এবার টেস্ট থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ালেন কোহলি। এর ফলে অবসান হল একটা যুগের। তবে বিরাটের এই সিদ্ধান্ত একাধিক প্রশ্ন তুলবে। সিরিজ হারের পরই কেন এই সিদ্ধান্ত তা নিয়ে আলোচনা চলছে। ব্যাটে রান না পাওয়ায় চাপে ছিলেন।
তারমধ্যে ডিআরএস বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। ২৯ বছর পর প্রোটিয়াদের দেশে টেস্ট সিরিজ জেতার হাতছানি ছিল ভারতের। তাও আবার ধারে এবং ভারে অনেকটাই দুর্বল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। কিন্তু ব্যর্থ হয় টিম ইন্ডিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার আগে বোর্ডের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির তোপের মুখে পড়ে গিয়েছিলেন।