নিজস্ব সংবাদদাতা, কোলকাতা:- বন্ধ লোকাল ট্রেন,মেট্রো, এই কোভিড পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম সড়ক পথ। বাস , ট্যাক্সি তেই আস্থা জনগণের। রাজ্য সরকার বাস পরিচালনায় রয়েছে সরকারি নজরদারি অথচ ট্যাক্সি স্যানিটাইজেশনের বিষয়ে নির্বিকার প্রশাসন। যাত্রী সুরক্ষা ও স্যানিটাইজেশনের বাড়তি দায়িত্ব ট্যাক্সি মালিকদের, বাড়ছে ক্ষোভ।করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে টানা লকডাউন উঠে গেলেও ফের রাজ্যে চালু হয়েছে ইতিমধ্যে সাপ্তাহিক লকডাউন। রাজ্য সরকারের নির্দেশে ইতিমধ্যেই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মাস্ক পড়ে রাস্তায় বেরোনো। সামাজিক দূরত্ব সহ যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের৷
রাজ্যের মধ্যে বিশেষ করে গণপরিবহন ব্যবস্থায় হলুদ ট্যাক্সি অন্যতম মাধ্যম। শুধু শহরের নিত্যযাত্রী বহনই নয়, ভিন রাজ্যের যাত্রীরাও ব্যবহার করে এই ট্যাক্সি৷ হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশন ছাড়াও বিমান ধরার ক্ষেত্রেও আজও যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম ট্যাক্সি ৷ স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী রুটে নামার আগে সকালে এবং গাড়ি গ্যারেজ করার আগে রাতে ট্যাক্সি স্যানিটাইজ় করতে হবে ৷ ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রশাসনের তরফে জারি করা হয় নির্দেশিকা। এইসঙ্গে যাত্রী সুরক্ষায় প্রত্যেক ট্রিপের পর ট্যাক্সি স্যানিটাইজ় করা বাধ্যতামূলক ৷ তাই গোটা বিষয়টি যথেষ্ট ব্যয় সাপেক্ষ ৷ ট্যাক্সি চালকদের অভিযোগ, স্যানিটাইজ করার চেষ্টায় প্রশাসন কোনও উদ্যোগ নেয়নি ৷ তাই এই মন্দার বাজারে তাঁদের গ্যাঁটের টাকা খরচ করেই গাড়ি স্যানিটাইজ় করতে হচ্ছে ৷ একদিকে লকডাউন আর কোভিডের জন্য দিনের শেষে আয় এসে ঠেকেছে তলানিতে। অন্যদিকে এই ভাবে গাড়ি স্যানিটাইজ করার বাড়তি টাকাও নিতে পারছেন না যাত্রীদের কাছ থেকে। আর এই বিষয়ে প্রশাসনের তরফে সেইভাবে নজরদারিও চালানো হচ্ছে না।
এই বিষয়ে হাওড়ার রিজিওয়াল ট্রাফিক অফিসার (RTO) সৌমিত্র বিশ্বাস বলেন, “ট্যাক্সি ইউনিয়নগুলিকে স্যানিটাইজেশনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ প্রশাসন নজরদারি চালাবে। তবে ট্যাক্সির ক্ষেত্রে এখনই আলাদা করে কোনও ব্যবস্থা করতে পারিনি। আপাতত বাসের ক্ষেত্রে নজরদারি চালানো হচ্ছে। ট্যাক্সির ব্যাপারটা মাথায় রয়েছে। এটা নিয়েও কাজ হবে।”কিন্তু সেই কাজ কবে হবে তা নিয়ে সন্দিহান চালক, মালিক যাত্রীরাও। সারাদিনে একবার স্যানিটাইজেশন করে যেভাবে যাত্রী পরিবহন চলছে তাতে চালক এবং যাত্রীদের যাত্রা কতটা সুরক্ষিত হবে সেই নিয়েও স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন।তবে মন্দার বাজার কাটিয়ে কবে আবার সব স্বাভাবিক হবে সেদিকেই তাকিয়ে এই হলুদ ট্যাক্সির চালক ও মালিকেরা।