বিদেশ – চিন কি অবশেষে চাপের মুখে নতি স্বীকার করল, নাকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই সমাধানের পথ খুঁজছেন? দীর্ঘদিনের বাণিজ্য যুদ্ধ ও শুল্কের পাল্টা হুঁশিয়ারির মধ্যে অবশেষে সামনে এল সেই বহুল প্রতীক্ষিত সাক্ষাতের দিনক্ষণ। জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই মুখোমুখি বসতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগে চিনের পণ্যের উপর ১৫৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, এই শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই অর্থাৎ আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে বৈঠক না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাল্টা চিনও হুঁশিয়ারি দেয়, “ভুল শুধরে আলোচনার টেবিলে না এলে আমরা যা করার করব।” কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুই দেশই আলোচনার পথে হাঁটল।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবার থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে তাঁর এশিয়া সফর শুরু করবেন। এই সফরকালেই দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়াংজু শহরে ৩০ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে তিন দিনের ‘এশিয়া প্যাসিফিক কো-অপারেশন সামিট’ (APEC Summit)। সেখানেই মুখোমুখি বসবেন ট্রাম্প ও শি জিনপিং।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈঠকে মূলত দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক, শুল্কনীতি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য নিয়ে আলোচনা হবে। গত ২৩ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প নিজেই প্রথমবার ইঙ্গিত দেন যে দক্ষিণ কোরিয়ায় তাঁর ও শির মধ্যে বৈঠক হতে পারে। তিনি তখন বলেন, “আমেরিকা ও চিনের সম্পর্ক এখন খুবই ভালো। আমরা এমন এক পথ খুঁজছি যাতে দুই দেশেরই উপকার হয়।”
এই বৈঠককে বিশ্লেষকরা দেখছেন দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে। বিশ্বের অর্থনীতির ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রেও এটি হতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এখন দেখার বিষয়, এই সাক্ষাৎ কতটা গলিয়ে দিতে পারে দুই পরাশক্তির বাণিজ্যিক বরফ।

















