শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার ঠাকুরনগর স্টেশনে রেল অবরোধ। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার তালদি স্টেশনে রেললাইনে লোহার পাত ফেলে আটকে দেওয়া হয় আপ ক্যানিং লোকাল।শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার ঠাকুরনগর স্টেশনেও ভোর ৪টে ৪০ থেকে অবরোধ শুরু হয়। একইভাবে পরপর দুটি ট্রেন বাতিল হওয়ায় এই অবরোধ বলে জানা গেছে। রেল অবরোধের জেরে ভোগান্তির শিকার বহু যাত্রী। সাতসকালে তিনটি ক্যানিং লোকাল পর পর বাতিল। তারপরেই বিক্ষোভ শুরু হয় তালদি ও ঠাকুরনগর স্টেশনে।
তালদি স্টেশনে রেল অবরোধ করেন যাত্রীরা। বিক্ষোভের জেরে ব্যাহত শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার রেল চলাচল। প্রথম ট্রেন ও দ্বিতীয় ট্রেনের দাবিতে রাত দুটো থেকে ঠাকুরনগর রেল গেটে অবরোধ শুরু করেছে ফুল ব্যবসায়ীরা। রাত দুটো থেকে রেল লাইনের উপর ফুলের বোঝা ফেলে অবরোধ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ফার্স্ট ট্রেন এবং সেকেন্ড ট্রেনে তারা মূলত ফুল নিয়ে কলকাতায় যান। ফুলের ব্যবসা করে তাদের পেট চলে। সকালের দুটো ট্রেন না চললে তারা কলকাতায় যেতে পারবেন না এবং না খেয়ে মরতে হবে। ফলে অবিলম্বে ট্রেন চালু করতে হবে। যতক্ষণ না ট্রেন চালানোর হবে ততক্ষণ তারা অবরোধ চালিয়ে যাবেন বলে জানান।
আর ও পড়ুন সাতসকালে শুরু হলো ট্রেন অবরোধ, ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের
ঘটনাস্থলে মোতায়েন জিআরপি। তবে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে রেলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। লোকাল রেলপুলিস অবরোধ তোলার চেষ্টা করছেন। তালদি স্টেশনে ইতিমধ্যেই জড়ো হয়েছেন প্রচুর যাত্রী। পাশাপাশি ঠাকুর নগর স্টেশনেও রেল অবরোধ হয়েছে। অভিযোগ, ক্যানিং থেকে শিয়ালদাগামী প্রথম আপ ট্রেন ৩:৫২ মিনিটে ছাড়ে। সেই ট্রেন না চলার কারণে বহু মানুষ নিজেদের কর্মস্থলে যেতে পারছেন না। এদিকে, রেলের দাবি রাজ্যের নির্দেশিকা মেনে ভোর ৫ টা থেকে ট্রেন পরিষেবা শুরু করা হচ্ছে। যেহেতু ৫ টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ চলছে সেই বিধিনিষেধ মেনেই বন্ধ রাখা হয়েছে ট্রেন। এরপর বেলা গড়ালে নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে অবরোধকারীদের হাতাহাতি শুরু হয়। রেল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। যাই হোক, যাত্রীরা অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর।এই মুহূর্তে গাইঘাটা থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত চলছে ট্রেন।
উল্লেখ্য, শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার ঠাকুরনগর স্টেশনে রেল অবরোধ। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার তালদি স্টেশনে রেললাইনে লোহার পাত ফেলে আটকে দেওয়া হয় আপ ক্যানিং লোকাল।শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার ঠাকুরনগর স্টেশনেও ভোর ৪টে ৪০ থেকে অবরোধ শুরু হয়। একইভাবে পরপর দুটি ট্রেন বাতিল হওয়ায় এই অবরোধ বলে জানা গেছে। রেল অবরোধের জেরে ভোগান্তির শিকার বহু যাত্রী। সাতসকালে তিনটি ক্যানিং লোকাল পর পর বাতিল। তারপরেই বিক্ষোভ শুরু হয় তালদি ও ঠাকুরনগর স্টেশনে।