ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক মহিলার। বুধবার সকালে রঘুনাথগঞ্জ থানার ওমরপুর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম মৌমিতা সিনহা(৩৮)। বাড়ি বহরমপুর গোরাবাজার। দুর্ঘটনায় মৃতার স্বামী ও ছেলেও আহত হয়েছেন। আহত দু’জন জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, কৃষি আধিকারিক শুভময় সিনহা ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে গাড়িতে করে রঘুনাথগঞ্জে পেটকাটি দুর্গা দেখতে যাচ্ছিলেন। শুভময়বাবু নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পাশের সিটে স্ত্রী বসেছিলেন। ওমরপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিকে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারেন। ঠিক সেই মহুর্তে বহরমপুর থেকে নিজের গাড়িতে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ডিউটিতে যোগ দিতে আসছিলেন চিকিৎসক বিমান দাস।
তিনি স্থানীয়দের সাহায্যে তিনজনকে উদ্ধার করে নিজের গাড়িতে জঙ্গিপুর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। শুভময়বাবু বলেন, রাতভর বহরমপুরে ঠাকুর দেখেছি। পেটকাটি দুর্গা দেখার জন্য ভোররাতে বহরমপুর থেকে রঘুনাথগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। ওমরপুর ঢুকতেই চোখটা বুঁজে এসেছিল।
হঠাৎ বিকট আওয়াজে চোখ খুলে দেখি আমার গাড়িটা লরির পিছনে দোমড়ানো-মোচড়ানো অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। পাশের সিটে স্ত্রী অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ছেলের সারা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। চিকিৎসক বিমান দাস বলেন, আমি পিছনেই আসছিলাম। হঠাৎ দেখি গাড়িটা লরির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারল। স্থানীয়দের সাহায্যে তিনজনকে নামানো হয়। শুভময়বাবুর স্ত্রী ঘটনাস্থলে মারা যান।
আরও পড়ুন – কলকাতা-শ্রী সহ ৭টি শারদ সম্মান জাগরীর থিম “আলোর দিশারী-র” ঝুলিতে
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে রঘুনাথগঞ্জ থানার ওমরপুর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম মৌমিতা সিনহা(৩৮)। বাড়ি বহরমপুর গোরাবাজার। দুর্ঘটনায় মৃতার স্বামী ও ছেলেও আহত হয়েছেন। আহত দু’জন জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানা গিয়েছে, কৃষি আধিকারিক শুভময় সিনহা ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে গাড়িতে করে রঘুনাথগঞ্জে পেটকাটি দুর্গা দেখতে যাচ্ছিলেন। শুভময়বাবু নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পাশের সিটে স্ত্রী বসেছিলেন।