দিল্লি : ৯ বছর আগে পি চিদম্বরম যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তখন সোহরাবুদ্দিন শেখ ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় গ্রেপ্তার হন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেসময়, অমিত শাহ গুজরাট মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। ঠিক দশ বছর পর, মুদ্রার উলটো পিঠ দেখলেন চিদম্বরম। এবারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্বে অমিত শাহ। আর অভিযুক্তের আসনে চিদম্বরম নিজেই। পার্থক্য হল, সমন পাওয়ার পর অমিত শাহ নিজেই সিবিআই দপ্তরে হাজির হন, আর চিদম্বরমকে বাড়ির দেওয়াল টপকে গিয়ে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। অনেকেই বলছেন, নয় বছর আগের সেই ঘঠনার বদলা নিলেন অমিত শাহ।
মনমোহন সিং সরকারের ১০ বছরের জমানায় অত্যন্ত প্রভাবশালী মন্ত্রী ছিলেন পি চিদম্বরম। ২০০৫ সালে সোহারাবুদ্দিন শেখকে পুলিস হেফাজতে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ ওঠে। ওই সময়ে গুজরাটের স্বরাষ্ট্র দফতর ছিল অমিত শাহের অধীনে। সোহরাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে তখন ৬০টি মামলা ঝুলে ছিল। অভিযোগ ওঠে, অমিতের অনুমতি পেয়ে ভুয়ো সংঘর্ষে সোহরাবুদ্দিনকে খুন করা হয়েছিল।
২০১০ সালের জানুয়ারিতে মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তার ঠিক ৬ মাস পর জুলাইয়ে অমিত শাহকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। তখন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। গুজরাট হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন অমিত। কিন্তু আপত্তি তুলে সিবিআই জানিয়েছিল, রাজনৈতিক ক্ষমতা খাটিয়ে প্রমাণ নষ্ট বা সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন তিনি। অক্টোবরে অমিত শাহকে জামিন দেয় গুজরাট হাইকোর্ট। পরের দিন সিবিআইয়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচারপতি নির্দেশ দেন, গুজরাটে থাকতে পারবেন না অমিত শাহ। ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত নিজের রাজ্যে ঢুকতে পারেননি বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।