শিবের ত্রিশূলে সব সময় ডমরু বাঁধা থাকে কেন? মহাদেব অন্যান্য দেবতাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তাঁর পোশাক পরিচ্ছদ ও জীবণ ধারণের প্রণালী একেবারেই বিলাস ও বৈভব বিহীন। তার হাতে থাকে ত্রিশূল। আর সেই ত্রিশূলে বাঁধা ডমরু। কিন্তু কেন?
হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী শিব হলেন আদি দেবতা। অন্য দেবতাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, মহাদেবের সহজ সরল জীবনযাত্রা ও পোশাক আশাক তাঁর ভক্তদের মনে তাঁর সম্পর্কে কৌতুহল বাড়িয়ে তোলে আরও অনেকটাই৷ কেন তাঁর হাতে ত্রিশূল, কেন তাঁর হাতে ডমরু, কেন সাপ তাঁর গলায় জড়ানো, এমন আরও বহু প্রশ্নই মনে উঁকি দিয়ে যায়৷ তেমনই কিছু প্রশ্নের উত্তর রইল আপনাদের জন্য…
আরও পড়ুন কেমন ছিল আগেকার দিনের আইন আদালত
ত্রিশূল – মহাদেবের ত্রিশূল তিনটি শক্তির প্রতীক- সৃষ্টি,স্থিতি,লয় ৷
ডমরু – শিবের ত্রিশূলে সব সময় বাঁধা থাকে ডমরু। এই ডমরু বেদ এবং তার উপদেশের প্রতীক যা আমাদের জীবনে এগিয়ে চলার রাস্তা দেখায়৷
রুদ্রাক্ষমালা – রুদ্রাক্ষ ধারণ আসলে শুদ্ধতার প্রতীক৷ অনেকক্ষেত্রে তাঁর হাতে রুদ্রাক্ষমালা থাকে যা ধ্যানমুদ্রার সূচক বলে জানা যায়৷
জটার থেকে নির্গত জল – মহাদেবের জটা থেকে জল বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। আসলে তা হল গঙ্গা নদী৷ অনেক ছবিতে আবার চেহারার পরবর্তে জটা থেকে নির্গত জলধারা দেখতে পাওয়া যায়৷ ভগীরথের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয় সর্গের নদী গঙ্গা যখন মর্ত্যে নেমে আসছিলেন, তখন তাঁর প্রচণ্ড জলোচ্ছ্বাসে পৃথিবী প্লাবিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। ভগীরথ তখনও শিবের সরণাগত হন। তখন মহাদেব তাকে নিজের জটায় রাখন।
নাগ – মহাদেবের গলায় ও মাথায় নাগের উপস্থিতি সর্বদা দেখা যায়, যা পুরুষের অহংকারের প্রতীক বলে মনে করা হয়৷
মাথায় চাঁদ – মহাদেবের মাথার চাঁদ এই ইঙ্গিত দেয় যে, কাল সম্পূর্ণরূপে তাঁর নিয়ন্ত্রণে৷
উল্লেখ্য, মহাদেব অন্যান্য দেবতাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তাঁর পোশাক পরিচ্ছদ ও জীবণ ধারণের প্রণালী একেবারেই বিলাস ও বৈভব বিহীন। তার হাতে থাকে ত্রিশূল। আর সেই ত্রিশূলে বাঁধা ডমরু। কিন্তু কেন?হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী শিব হলেন আদি দেবতা।
অন্য দেবতাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, মহাদেবের সহজ সরল জীবনযাত্রা ও পোশাক আশাক তাঁর ভক্তদের মনে তাঁর সম্পর্কে কৌতুহল বাড়িয়ে তোলে আরও অনেকটাই৷ কেন তাঁর হাতে ত্রিশূল, কেন তাঁর হাতে ডমরু, কেন সাপ তাঁর গলায় জড়ানো, এমন আরও বহু প্রশ্নই মনে উঁকি দিয়ে যায়৷