বিজেপির ডাকা বনধের বিরুদ্ধে রাস্তায় তৃণমূল নেতৃত্ব,স্বাভাবিক জন-জীবন, মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী, বিজেপিকে কটাক্ষ তৃণমূলের, পাল্টা মন্তব্য করতে নারাজ বিজেপি। গতকাল রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভার ভোটে দেখা গেছে অশান্তির ছবি।বিরোধীরা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। এমনকি আক্রান্ত হতে হয়েছে সংবাদমাধ্যমকেও।
প্রত্যেকটি জায়গায় শাসকদলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তারই প্রতিবাদে সোমবার রাজ্য-জুড়ে ১২ ঘন্টার বাংলা বনধ ডেকেছে বিজেপি। আর সেই বনধকে অসফল করতে রাস্তায় তৃণমূল। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেখা গেছে তারা বনধ রাজনীতির বিরুদ্ধে। এদিন মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুরে বনধের বিরুদ্ধে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি বিশাল মিছিল বের করা হয়।
সমগ্র হরিশ্চন্দ্রপুর জুড়ে মিছিলটি পরিক্রমা করে শহীদ মোড়ে শেষ হয়। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল জেলা সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান, তৃণমূল অঞ্চল চেয়ারম্যান সঞ্জীব গুপ্তা, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক তৃণমূলের যুব সভাপতি জিয়াউর রহমান, যুব-নেতা দুর্জয় দাস, পূজন দাস সহ আরো অনেকে। এই মিছিল থেকে পাল্টা তীব্র কটাক্ষ করা হয় বিজেপিকে। যদিও এই নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অপরদিকে এলাকা জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে পুলিশকে।
মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর বিজেপির ডাকা বনধের তেমন কোনো সাড়া পড়েনি। খোলা ছিল দোকানপাট, স্বাভাবিক ছিল যান চলাচল। বনধ সফল করতে রাস্তায় দেখা যায়নি বিজেপি নেতৃত্বকে। অপরদিকে বনধের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে তৃণমূল। সাধারণ মানুষের যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য তৎপর প্রশাসন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয় তারা কর্মনাশা বনধের বিরুদ্ধে। বিজেপি নিজেদের নিশ্চিত হার দেখে এসব নাটক করছে। এমনকি সংবাদমাধ্যমের ওপর আক্রমণ বিজেপির চক্রান্ত বলে আক্রমণ শানায় তৃণমূল নেতৃত্ব।
আর ও পড়ুন বনধের সমর্থনে রাজ্য জুড়ে জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ
মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান বলেন, গতকাল কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছাড়া ভোট শান্তি পূর্ণ ভাবে হয়েছে। বিজেপি তথা বিরোধীদের কোনো জমি নেই বাংলায়। নিজেদের নিশ্চিত হার বুঝে এই সব অভিযোগ করছে। মানুষ তাই আজ তাদের ডাকা বনধের সাড়া দেয়নি। সাধারণ মানুষ প্রমাণ করে দিচ্ছে অভিযোগ মিথ্যা। সংবাদমাধ্যমের ওপর আক্রমণ বিজেপির চক্রান্ত হতে পারে। পুরভোটে যেভাবে মানুষ তৃণমূলের পক্ষে রায় দিয়েছে পঞ্চায়েতেও দেবে।”
এদিকে এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বারবার বলেন বনধ কোন ভাবে মেনে নেওয়া যাবে না। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে বারবার দেখা গেছে বিরোধীরা বনধ ডাকলে সেই বনধ সফল হতে দেয়নি সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে সব রকম চেষ্টা করা হয় জন-জীবন স্বাভাবিক রাখার জন্য। খোলা রাখা হয় সরকারি দপ্তর। এই বনধের ক্ষেত্রেও দেখা গেলো সেই ছবি।