স্বাস্থ্য-ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়লে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করতে পারে। সঠিক খাওয়াদাওয়া এবং জীবনশৈলীই এই রোগ নিয়ন্ত্রণের মূল চাবিকাঠি। কিন্তু অনেক সময় কিছু সাধারণ খাবারই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। তাই জেনে রাখা জরুরি, কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।প্রথমেই যে খাবারটি একদম নিষিদ্ধ বলা যায়, তা হলো চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার। মিষ্টি, কেক, পেস্ট্রি, মিষ্টিজাত পানীয় — এগুলোতে থাকা অতিরিক্ত চিনি রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দিতে পারে। তেমনি সাদা ভাত ও ময়দা দিয়ে তৈরি খাবারও খুব দ্রুত গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়, যা ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার, যেমন চিপস, ফাস্ট ফুড বা রেডিমেড স্যুপে থাকে উচ্চমাত্রার সোডিয়াম ও ট্রান্স ফ্যাট, যা কেবল ডায়াবেটিস নয়, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগেরও ঝুঁকি বাড়ায়। অনেকে মনে করেন ফল খেলে ক্ষতি নেই, কিন্তু উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত ফল যেমন পাকা কলা, আনারস বা তেঁতুল অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সফট ড্রিংকস ও ফলের জুস। এগুলোতে প্রাকৃতিক শর্করার পরিবর্তে কৃত্রিম চিনি বা অতিরিক্ত গ্লুকোজ যোগ করা থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এমনকি অ্যালকোহলও রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে “লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স” (GI) যুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত এবং “ফাইবার” বা আঁশযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া উচিত, যেমন — ওটস, ব্রাউন রাইস, সবুজ শাকসবজি ও বাদাম।সতর্ক না হলে নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পরেও রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকতে পারে। তাই খাবার তালিকা বেছে নেওয়ার সময় সচেতন থাকুন — কারণ সচেতনতা থেকেই সুস্থতা।
