রাজধানী দিল্লির তাপমাত্রা নামলো ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দিল্লিতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে আজ। রোববার নাগাদ তাপামাত্রা আরও কমে ৫ ডিগ্রিতে নামতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা।অধিদপ্তর সূত্র জানায়, শনিবার সকালে দিল্লিতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির ঘরে রয়েছে।
সেই সঙ্গে দিনভর হালকা কুয়াশা থাকতে পারে।এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে তা আরো কমার আভাস দেয়া হয়। রাজধানী দিল্লির তাপমাত্রা কমলেও বায়ুর মানের কোনো উন্নতি হয়নি। সকাল ৮টায় বায়ুর মান রেকর্ড করে ২৮০ পাওয়া যায়, যা ‘খারাপ’ বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিক বাংলা ক্যালেন্ডারে পৌষ মাস পড়ে গিয়েছে। দেশ জুড়েই নামছে তাপমাত্রা । আগামী কয়েক দিনে যেমন পারা পতনের পূর্বাভাস রয়েছে, ঠিক তেমনই প্রবল শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। অন্যদিকে নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপজনিত কারণে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে উত্তর-পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন জায়গায় এবং পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতে ন্যূনতম তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে থেকে পারে। মহারাষ্ট্রে তাপমাত্রা নামতে পারে ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। প্রবল শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস জম্মু-কাশ্মীর-লাদাখ-গিলগিট-বালতিস্তান, মুজফফরাবাদ-হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়ে আগামী ৪ জিনে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। আগামী পাঁচ দিনে এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে রাজস্থানে। গুজরাতে তিন দিনে এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশে ১৯ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
আগামী তিন দিনে উত্তর রাজস্থানের কোনও কোনও জায়গায় প্রবল শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়ে ১০ ও ২০ ডিসেম্বরে এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ঘন থেকে অতি ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে ১৮-২০ ডিসেম্বরের মধ্যে পঞ্জাবে মাঝারি থেকে ভারী কুয়াশা পড়তে পারে। হরিয়ানা. চণ্ডীগড় ও রাজস্থানেও ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
আর ও পড়ুন এবারে গঙ্গাসাগরে থাকছে আকর্ষণীয় ব্যবস্থাপনা, জানতে পড়ুন এই প্রতিবেদন
এছাড়াও উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মনিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরায়ও এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সমতলেও তুষারপাতের পরিস্থিতি পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং উত্তর রাজস্থানে গ্রাউন্ড ফ্রস্ট পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে আগামী দিন তিনেক, বলা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের রিপোর্টে।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন ভারত মহাসাগরে একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। যার পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। আগামী ৪৮ ঘন্টায় এই নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর নাগাদ সমুদ্রে ঘন্টায় ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বয়ে যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতির কারণে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর নাগাদ নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।