রাজ্য – সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ডিসেম্বরে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে তৎপর রাজ্য শিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। একাদশ-দ্বাদশের দুই বিষয়ে নথি যাচাই বা ভেরিফিকেশনও সম্পন্ন হয়েছে। এবার বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ওই দুই বিষয়ের ইন্টারভিউ পর্ব, যা চলবে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এসএসসি এ বছর ফর্ম গ্রহণের সময় থেকেই নজরদারি বাড়িয়েছে। নথি যাচাই প্রক্রিয়াতেও সেই সতর্কতা বজায় রেখেছে কমিশন। ভেরিফিকেশনে বাংলায় ৩৩ জন এবং ইংরেজিতে ৭৩ জন প্রার্থীর নাম বাদ পড়েছে। অভিযোগ—কেউ অভিজ্ঞতার ভুল তথ্য দিয়েছেন, কেউ শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি গরমিল করেছেন, আবার কারও জাতি শংসাপত্রে জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে। যাদের নথি সঠিক পাওয়া গেছে, তাঁদেরই এবার ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হবে।
কমিশন সূত্রে খবর, প্রতিদিন ৩০০–৩৫০ জন প্রার্থীর ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে এত বিপুল সংখ্যক ইন্টারভিউ নিতে সময় লাগতে পারে। তাই পুরো রাজ্যকে পাঁচটি আঞ্চলিক অফিসে ভাগ করা হয়েছে—উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। এই আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলির মাধ্যমেই ইন্টারভিউ পরিচালিত হবে যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রক্রিয়া শেষ করা যায়।
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে আঞ্চলিকভাবে ইন্টারভিউ নেওয়াই সবচেয়ে কার্যকর পথ বলে জানিয়েছে এসএসসি। ডিসেম্বর শেষ হওয়ার আগেই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের পথ খুলে যেতে পারে, এমনই আশা শিক্ষা দফতরের।




















