ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত এবং সাফাই কর্মীর মৃত্যু, মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের পুরমন্ত্রীকে চিঠি পাঠাবেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ। শিলিগুড়িতে ক্রমেই ডেঙ্গু মহামারির আকার ধারণ করছে। শিলিগুড়িতে ভেঙে পড়েছে পুরনিগম ব্যবস্থা। অথচ প্রশাসনের কোনোরকম হেলদোল নেই। ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যাও নেহাত কম নয়, কিন্তু এই পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা গোপন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ শিলিগুড়ি পুরসভার বিরুদ্ধে। বিরোধীদের আশঙ্কা এই গোপনীয়তার ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। শুক্রবার শিলিগুড়ির ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাফাই কর্মী দিলীপ রাউতের মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ডেঙ্গু নাকি অন্যকিছু তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
শিলিগুড়ির সফদর হাসমি চক থেকে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন উড়ালপুল হয়ে তিনমাথা মোড়ে নামতেই বাঁদিকে রেলের জমিতে গড়ে উঠেছে টিকিয়াপাড়া বস্তি। সিমেন্টের রাস্তা ধরে কিছুটা এগোতেই মৃত সাফাইকর্মী দিলীপ রাউত এর বাড়ি চোখে পড়ে। বাড়ির বাইরে বেরোলেই দেখা যাবে বস্তির পাশ দিয়ে যাওয়া নালা প্লাস্টিক কাগজ জলের বোতল সহ নানা আবর্জনায় কার্যত বুজে গেছে। গোটা এলাকাই অস্বাস্থ্যকর হয়ে রয়েছে। গোটা শিলিগুড়িবাসী তো বটেই এছাড়া সাফাই কর্মীদেরও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন – আকাশ পরিষ্কার, নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন থেকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে
শুক্রবার শিলিগুড়ির ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে মৃত সাফাই কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান বিধায়ক শংকর ঘোষ। পাশাপাশি এলাকা পরিদর্শন করে অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়ক। এদিন বিধায়ক জানান, “সাফাই কর্মীদের কাজ শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। কিন্তু সেই সাফাই কর্মীরাই যদি এভাবে আক্রান্ত হয় তাহলে পরবর্তীতে সাফাই কর্মীরা কাজ করতে ভয় পাবে। পুরনিগম একেবারেই ব্যর্থ তাই পুরনিগমের ব্যর্থতা নিয়ে বিজেপি বিধায়ক নিজেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও পুরমন্ত্রীকে চিঠি পাঠাবেন”।
অন্যদিকে, বিধায়কের এই মন্তব্যে শিলিগুড়ির ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার জানান, “বিধায়ক এত অভিযোগ করছেন তবে তাঁকে রাস্তায় নেমে মানুষকে সচেতন করতে দেখা যায়না, তাঁর কাজ শুধু মানুষকে বিভ্রান্ত করা ও তাদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা, এছাড়া বিধায়ক চিঠি পাঠাতেই পারেন, কিন্তু পুরনিগম সব সময় সাফাই কর্মীদের পাশে রয়েছে। তাদের জন্য যা প্রয়োজন পুরনিগম সব কিছু করবে”।