ডেঙ্গু নিয়ে সরগরম শিলিগুড়ি, পুরনিগম দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ বিজেপির। শিলিগুড়িতে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ক্রমাগত ডেঙ্গু যেন মহামারির আকার ধারণ করছে। অথচ শিলিগুড়ি পুরনিগমের পুরপ্রশাসন নিশ্চুপ। শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র ডেঙ্গু মোকাবিলার জন্য ১৮ দিন সময় নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও ডেঙ্গুর মোকাবিলায় কোনোরকম হেলদোল নেই পুরনিগমের।
ডেঙ্গু নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার পুরনিগমের প্রধান গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হল দার্জিলিং জেলা বিজেপি। এদিন পুরনিগমের প্রধান গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন, পুরনিগমের বিরোধী দল নেতা অমিত জৈন সহ একাধিক বিজেপি নেতারা। এদিন বিক্ষোভে বসে স্লোগানের মধ্য দিয়ে শিলিগুড়ি পুরনিগম, স্বাস্থ্য দপ্তর ও মেয়রের বিরুদ্ধে এক রাশ ক্ষোভ উগরে দেন তারা।
পুরনিগমের বিরোধী নেতা অমিত জৈন বলেন, “শিলিগুড়িতে ডেঙ্গু বাড়ছে, লাগাতার সাধারণ মানুষজন মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে ফলে তাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে যে ছেলেখেলা চলছে প্রতিটি হাসপাতালে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং এই কার্ড দিয়েই সমস্ত রোগীর চিকিৎসা করাতে হবে। যারা ইতিমধ্যেই ডেঙ্গুর ফলে প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এই দাবি নিয়েই আজ আমরা ধর্নায় বসেছি। অমিতবাবু এও বলেন, এর আগেও আমরা বলেছিলাম কিন্তু পুরপ্রধান আমাদের কথার গুরুত্ব দিচ্ছেন না যার কারণে আজ এই অবস্থান বিক্ষোভ। প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু মহামারির আকার ধারণ করছে অথচ প্রশাসনের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই এরকম চলতে থাকলে আমরা মেয়রের পদত্যাগের দাবি জানাবো”।
আরও পড়ুন – জগদীশ নগরে সৌরবিদ্যুৎ পরিচালিত জলের পাইপের উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী গিয়াস উদ্দিন মোল্লার
অপরদিকে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন জানান, “বর্তমান পুরনিগমে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা খেলা, মেলা, কার্নিভালের ফিতে কাটতেই ব্যস্ত। এদিকে এত লোকের প্রাণ চলে যাচ্ছে তার মূল্য তাঁদের কাছে নেই। এর আগেও আমরা ডেঙ্গুর বিষয় নিয়ে বড় বড় অফিসে কর্পোরেশনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছি তা সত্ত্বেও এখনো এখানে ডেঙ্গুকে আয়ত্তে আনার জন্য কোনো প্রকার টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়নি।
আনন্দময় বর্মন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যে, মেয়র এবং আরো যারা এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত তারা যেন অতি সত্বর ডেঙ্গু মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেন। তা না হলে মেয়রকে তারা দপ্তরে ঢুকতে দেবেন না। আগামী দিনে যাতে ডেঙ্গুর ফলে শিলিগুড়ির সাধারণ জনতার অকালে প্রাণ না যায় সেই সমস্ত দিক মেয়রকে লক্ষ্য হবে “। এখন শিলিগুড়ি পুরনিগম আগামী দিনে ডেঙ্গু মোকাবিলায় ঠিক কি ব্যবস্থা নেয় সেটাই দেখার বিষয়।