প্রধানমন্ত্রী – বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উত্তরা এলাকায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা। সোমবার দুপুরে দিয়াবাড়ি অঞ্চলে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ে একটি স্কুল ভবনের উপর, প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ১৭১ জন, যাদের অধিকাংশই ছাত্রছাত্রী।
দুপুর দেড়টা নাগাদ (বাংলাদেশ সময়) বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই মডেলের একটি যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপর ভেঙে পড়ে। সঙ্গেসঙ্গেই বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশ ছুঁয়ে যায়। দমকলের আটটি ইঞ্জিন দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড়েছিল এবং দুর্ঘটনাটি ঘটে ঠিক ১২ মিনিট পরে। ঘটনায় পাইলটেরও মৃত্যু হয়েছে।
আহতদের মধ্যে বহু শিক্ষার্থী আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি আছেন ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। ঘটনাটি ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে উত্তরা জুড়ে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “ঢাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। নিহত ও আহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এই কঠিন সময়ে ভারত বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।”
শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসও। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া বার্তায় তিনি বলেন, “এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি।” সরকার ঘটনার পূর্ণ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে এবং আগামীকাল, মঙ্গলবার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার ভয়াবহতা অনেকের মনে ফিরিয়ে দিয়েছে ভারতের আমদাবাদের সাম্প্রতিক এক বিমান দুর্ঘটনার স্মৃতি।
