৩০টি দেশে ঢুকে পড়েছে করোনার নতুন বিপজ্জনক স্ট্রেন ওমিক্রণ । করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিশ্বে। অন্তত ৩০টি দেশে ঢুকে পড়েছে করোনার নতুন বিপজ্জনক স্ট্রেনটি। এর মধ্যে রয়েছে ভারতের নামও। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ‘ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল’ (ইসিডিসি) জানিয়েছে, যে গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন, শীঘ্রই ডেল্টাকে সরিয়ে এটিই বিশ্বে ‘ডমিন্যান্ট’ বা মূল সংক্রামক স্ট্রেন হয়ে উঠবে।
ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য দিয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিস এর বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন, পূর্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও নতুন করে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকারই আরও একটি গবেষণা বলছে, ওমিক্রন স্ট্রেনের রি–ইনফেকশনের ক্ষমতাও ডেল্টা বা বিটার চেয়ে ৩ গুণ বেশি। অর্থাৎ ডেল্টা বা বিটা স্ট্রেনে একবার আক্রান্ত হলে দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। এমনকি প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হত শরীরে। ওমিক্রনে কিন্তু তা নয়। দ্বিতীয়বার সংক্রমণের আশঙ্কা অন্তত ৩ গুণ বেশি।
দক্ষিণ আফ্রিকা ওমিক্রন স্ট্রেনের বিষয়ে প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)–কে রিপোর্ট করেছিল ২৪ নভেম্বর। কিন্তু সাম্প্রতিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, তার বহু আগেই বিভিন্ন দেশে ছড়াতে শুরু করেছিল স্ট্রেনটি। ইসিডিসি দাবি করেছে, আফ্রিকা মহাদেশের বোতসোয়ানায় প্রথম ওমিক্রন চিহ্নিত হয়েছিল ১১ নভেম্বর। দক্ষিণ আফ্রিকা স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি, তাদের দেশে কবে প্রথম ধরা পড়ে স্ট্রেনটি।
নভেম্বরের শুরু থেকে তারা রোগীদের মধ্যে ভিন্ন উপসর্গ লক্ষ্য করে। এরপর অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, নতুন স্ট্রেন। এখনও স্ট্রেনটির সংক্রমণ ও মারণ ক্ষমতা অজানা। তবে ভাইরাসটির ম্যাথামেটিকাল মডেলিং দেখে ইসিডিসি–র বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে গোটা ইউরোপের অর্ধেক করোনা সংক্রমণের জন্যই দায়ী হবে ওমিক্রন। যত দ্রুত এটি ছড়াবে, তত তাড়াতাড়ি ডেল্টাকে সরিয়ে এটিই মূল সংক্রামক স্ট্রেন হয়ে উঠবে।
আর ও পড়ুন ঘাটাল মহকুমা জুড়ে চলছে সারের কালোবাজারি
আর তাই টিকাকরণের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজও চালু রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসা পদ্ধতির বাইরে যে দায়িত্বগুলো রয়েছে, সেগুলো মাথায় রাখা প্রয়োজন। যেমন, পারস্পরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা, মাস্ক পরা, ঘরের মধ্যে হাওয়া চলাচল ঠিক রাখা। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পর্যটনেও নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ভাবছে ইউরোপ। অফিসগুলোকে বাড়ি থেকে কাজ করানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।