:
মৃত ব্যক্তির একাউন্টেও ঢুকেছে বন্যা ত্রানের টাকা! গ্রেফতার এক। অবশেষে মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন ২০১৭ সালের বন্যার ত্রান কেলেঙ্কারিতে জড়িত প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শেখ সামাদ।বাড়ি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের মোবারকপুর এলাকায়।তিনি ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন শাসক দলের সদস্য ছিলেন বলে খবর।
জানা যায় ওই এলাকায় তিনি একটি সিএসপি চালাতেন।এই সিএসপির মাধ্যমে তিনি প্রচুর ভুয়া একাউন্টে বন্যা ত্রাণের টাকা টান্সফার করেছেন।এমনকি বেশ কিছু মৃতব্যক্তির একাউন্টেও তিনি টাকা লেনদেন করেছেন বলে অভিযোগ।এই অভিযোগের ভিত্তিতেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করে। এদিন চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজত প্রদান করেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায় ২০১৭ সালে বন্যায় চাঁচল মহকুমা জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। শুধু বরুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হন ৭৩৯৪ জন।আংশিক ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ৩৩০০ টাকা ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার।কিন্তু তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেওবরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গতদের অনেকেই ত্রাণ পাননি বলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন বঞ্চিতরা।
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে প্রশাসন জানতে পারে, তালিকায় দুর্গতদের নাম থাকলেও তাঁদের নামের পাশে অন্য অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে টাকা তোলা হয়েছে। এ দিকে, প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করছে না বলে আদালতে মামলা করেন পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান।সেই মামলা এখনও চলছে। অভিযোগ উঠে প্রধানের বিরুদ্ধে।গত ২২ জুলাই বন্যাত্রাণের ৭৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন বিডিও অনির্বাণ বসু।
আর ও পড়ুন জল্পনার অবসান, সামনে আসলো নুসরতের ছেলের পিতৃ পরিচয়”
প্রধানের বিরুদ্ধে প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গের মতো জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় মামলার পর প্রায় দুই মাস সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও কেন পুলিশ অভিযুক্ত প্রধানকে গ্রেফতার করতে পারল না সেই প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে অভিযুক্ত প্রাক্তন পঞ্চায়েত সেখ সামাদ জানান সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। মৃতব্যক্তির একাউন্টে যে টাকা ঢোকানো হয়েছিল তা ওই ব্যক্তিদের ছেলেকে দেওয়া হয়েছে। তবে কিভাবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলিয়ে তিনি টাকা প্রদান করলেন সে বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি শেখ সামাদ।
উল্লেখ্য, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে প্রশাসন জানতে পারে, তালিকায় দুর্গতদের নাম থাকলেও তাঁদের নামের পাশে অন্য অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে টাকা তোলা হয়েছে। এ দিকে, প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করছে না বলে আদালতে মামলা করেন পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান।সেই মামলা এখনও চলছে। অভিযোগ উঠে প্রধানের বিরুদ্ধে।গত ২২ জুলাই বন্যাত্রাণের ৭৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন বিডিও অনির্বাণ বসু।