তরুণীকে নির্যাতন, টিকটক হৃদয়সহ ১১ বাংলাদেশি দণ্ডিত। বেঙ্গালুরুতে গত বছর এক বাংলাদেশি তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনায় আলোচিত টিকটক হৃদয়সহ ১১ বাংলাদেশির বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। শুক্রবার বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত এ রায় দেয় বলে সূত্রের খবর। এ রায়ে ৭ জনের যাবজ্জীবন হয়েছে। তারা হলেন- চাঁদ মিয়া, মোহাম্মদ রিফাকদুল ইসলাম (টিকটক হৃদয়), মোহাম্মদ আলামিন হোসেন, রকিবুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাবু শেখ, মোহাম্মদ ডালিম ও আজিম হোসেন।
এছাড়া তানিয়া খান নামের এক মহিলা আসামির ২০ বছর এবং মোহাম্মদ জামাল নামের একজনের পাঁচবছরের দণ্ড দিয়েছেন বিচারক। আর ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীনে নুসরাত ও কাজল নামে দুজনের ৯ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর খালাস পেয়েছেন একজন। গত বছর ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ, যার মধ্যে ১১ জনই অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশকারী।
আর ও পড়ুন যশোর রোডের পাশে শিরিষ গাছের বিপদজনক ডাল কাটা শুরু
এ বিষয়ে পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) ভীমশঙ্কর গুলেড় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন,ডিএনএ অ্যানালাইসিস, ইলেক্ট্রনিক প্রমাণ, মোবাইল ফরেনসিক,ফিঙ্গার প্রিন্টসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি যথাসময়ে দাখিল করা হয়। এ কারণে দ্রুত বিচার সম্ভব হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের মে মাসে বেঙ্গালুরুতে ২২ বছরের এক বাংলাদেশি তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতনের পর দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। এর কয়েক দিন বাদে নির্যাতনের সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
পরে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি দেখে পদক্ষেপ নেয় আসাম পুলিশ। ওই ভিডিও থেকে পাঁচ নিপীড়কের ছবি প্রকাশ করে তাদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য টুইটারে পুরস্কারের ঘোষণা দেয় তারা। এছাড়া ওই ঘটনায় ঢাকার হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার ও পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বাবা। পরে টিকটক হৃদয়সহ গ্রেপ্তার হওয়া ছয়জনের মধ্যে দুজন ‘পালানোর চেষ্টার সময়’ গুলিতে দুই আসামি আহত হয় বলে সূত্র মরফত জানা যায়।